সদ্য প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস কঠিন সময়ে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার মতো একজন সৎ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ রাজনীতিককে হারানো দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, তিনি কঠিন এক সময়ে গণতন্ত্রের হাল ধরেছিলেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সাবেক এ রাষ্ট্রপতিকে হারিয়ে বিএনপি একজন অভিভাবক হারালো। তার মতো দেশপ্রেমিক, সিনিয়র ও অভিজ্ঞ নেতাকে হারানোর শূন্যতা পূরণ সম্ভব হবে না।
সকাল ১১টা হওয়ার কথা থাকলেও বরিশাল থেকে মরদেহ আসতে দেরি হওয়ায় আব্দুর রহমান বিশ্বাসের দ্বিতীয় জানাজায় বিলম্ব হয়। তার প্রথম জানাজা বরিশাল জেলা স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ জানাজার নামাজের জন্য হাইকোর্টে নেয়া হয়। পরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে সর্বশেষ জানাজার পর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সমাহিত হবেন আব্দুর রহমান বিশ্বাস।
শুক্রবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন সাবেক এ বিএনপি নেতা।
দেশে সংসদীয় শাসন-ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের পর ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করে আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে ১১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃৃন্দ।
এছাড়াও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদীসহ জামায়াতের কয়েকজন নেতাকেও দেখা গেছে জানাজায়।