টানা তৃতীয় দিনের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
দপ্তরবিহীন করার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গল এবং বুধবার দু’ দফা একান্ত বৈঠকের পর ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসের একেবারে শেষ মুহূর্তে বৃহস্পতিবার তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পর রাত ৮টার দিকে গণভবনে যান সৈয়দ আশরাফ। আবারো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে আলোচনা করেন। তবে তাদের মধ্যে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি।
স্থানীয় সরকার ও সমবয় মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আশরাফ বাদ দেওয়ার পর তাকে দুটি মন্ত্রণালয়ের একটি বেছে নেওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি উপপ্রধানমন্ত্রী অথবা সংসদ উপনেতা করার আলোচনার মধ্যে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে এ সংক্রান্ত বিতর্কের আপাত: অবসান করা হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
সাবেক সচিব ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এ এস এইচ কে সাদেকের স্ত্রী ইসমত আরা সাদেক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকলেও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে।
আওয়ামী লীগের আগের আমলে ওই মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন এইচ টি ইমাম।
১৯৯০ সালের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বেশিরভাগ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছেই ছিলো। একবার মেজর জেনারেল (অব.) মজিদ-উল-হক পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া বাকি সময় প্রতিমন্ত্রী থাকলেও এককভাবে কাউকে জনপ্রশাসন মন্ত্রী করা হয়নি।
দপ্তর হারানোর পর গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন না তিনি।
এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে গণভবনে ডেকে পাঠান। পূর্ব-নির্ধারিত লন্ডন সফরও স্থগিত করতে বলেন তিনি।
সে অনুযায়ী সৈয়দ আশরাফ বুধবার আর লন্ডনের ফ্লাইটে উঠেননি। বরং রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়। সেখানেই চূড়ান্ত হয় জনপ্রশাসনের দায়িত্ব নেবেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে দেখা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক জানিয়েছেন, সোমবার মন্ত্রণালয়ে অফিস করবেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।