আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সোনা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এজন্য আজ প্রকৃত গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও অধিদপ্তর তা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে প্রকৃত গ্রাহকদের তালিকা দেয়ার কথা থাকলেও রোববার পর্যন্ত তা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে আগামি ২৫ মে মালিকপক্ষকে স্বর্ণের দোকানে উপস্থিত হয়ে কাগজপত্র বুঝে নিতে পুনরায় সময় দেয়া হয়েছে,’ বলে তিনি জানিয়েছেন।
এইসব কাগজপত্র অনুযায়ী তালিকা তৈরির পর প্রকৃত গ্রাহকদের জমা রাখা স্বর্ণ ফেরতের জন্য আবারও সময় ঠিক করা হবে।
ড. মইনুল খান জানান, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দোকান থেকে কাগজপত্র বুঝে নিতে গত ১৮ মে শুল্ক গোয়েন্দার দল উপস্থিত হলেও আপন জুয়েলার্সের কেউ উপস্থিত হননি।
এর আগে শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো রুম থেকে ৪৯৮ কেজি স্বর্ণ এবং ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড উদ্ধার করে। পরে ১৭ মে বেলা ১২টায় রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে আপন জুয়েলার্সেরে মালিক দিলদার আহমেদ ও তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রেসবিফিংয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, এইসব সম্পদের বৈধ কোন কাগজ তারা দেখাতে পারেননি।
তবে বৈধ ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখানোর জন্য শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কাছে আরো ১৫ দিনের সময় চায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপন জুয়েলার্সের প্রতিটি শাখায় রিপেয়ারিং এবং এক্সচেঞ্জ-এ গ্রাহকরা যে স্বর্ণ ও মূল্যবান জিনিস রেখেছিল তা ২২ মে সোমবার ফেরত দেওয়া কথা জানায় ।