সংস্কৃতি অঙ্গনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমোনি’ আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছে ছায়ানট। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সন্জীদা খাতুনের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ।
সোমবার সকালে নয়া দিল্লীর প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও টেগোর অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ডের প্রধান নরেন্দ্র মোদি এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী ড. মহেশ শর্মা।
সংস্কৃতি অঙ্গনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালের সম্মাননার জন্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। এই প্রথম দেশের বাইরের এবং এই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করলো ভারত সরকার।
সম্মাননা গ্রহণ করেন ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন। অনুষ্ঠানে শুরুতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ছায়ানটের ভূমিকা তুলে ধরেন। স্মরণ করেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন পূর্ববাংলার সার্বিক বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরে দেশবাসীকে জাগালেন, তখন সংস্কৃতিক্ষেত্রে স্বাধীনতা আর স্বাধিকার আন্দোলনের সংগ্রামে আমরা ছিলাম তার সহযাত্রী।’
শ্রদ্ধা জানান, ‘ফেব্রুয়ারি মাস বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলনের সূচনালগ্ন। ভাষা-আন্দোলনের বিজয়-ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির রক্তে-রাঙানো দানের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতি। শহিদ-স্মৃতি অমর হোক। জয়যুক্ত হোক আমাদের সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা।
তিনি বলেন, ‘ভারত রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির জন্য রবীন্দ্র-নামাঙ্কিত এই পুরস্কার ছায়ানটকে প্রদান করে আমাদের কৃতজ্ঞতাবদ্ধ করেছেন। আপন সংস্কৃতির প্রসার ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে চলায় নবপ্রেরণা যুগিয়েছেন।’
এবারে একই সঙ্গে তিন বছরের সম্মাননা প্রদান করেছে ভারত সরকার। ২০১৪ সালের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মণিপুরী নৃত্যগুরু রাজকুমার সিংহজিৎ সিংকে। ২০১৬ সালের জন্য সম্মানিত করা হয়েছে ভাস্কর রাম ভান্জি সুতারকে। সম্মানিত সকলকে এক কোটি ভারতীয় রুপির অর্থ পুরস্কারও দিয়েছে ভারত সরকার।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকের পর ২০১২ সালে কবিগুরু স্মর্তব্য এই পুরস্কার প্রবর্তন করে ভারত সরকার। প্রথম দুবছর সম্মানিত করা হয় পণ্ডিত রবি শঙ্কর এবং সঙ্গীতজ্ঞ জুবিন মেহতাকে।