চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আজ ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি দিবস

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস আজ। জাতীয় সম্পদ রক্ষার দাবি এবং উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের প্রতিবাদে ২০০৬ সালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৩ জন। আহত হন আড়াই শ’র বেশি মানুষ।

এশিয়া এনার্জির পরিকল্পনা ছিলো ফুলবাড়ী কয়লা খনি প্রকল্প থেকে ৩০ বছরে ৫’শ ৭২ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের। কিন্তু উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনে পরিবেশ বির্যয়ের ঝুঁকি ও ভিটে মাটি রক্ষায় ফুলবাড়ীবাসীর প্রতিবাদের জন্ম ।

ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র ও ফুলবাড়ী আন্দোলনের নেতা মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, ফুলবাড়ীবাসী কয়লাখনি চায় না। কিন্তু এশিয়া এনার্জি এখনো অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এলাকাবাসী জীবন দিয়ে হলেও তা প্রতিহত করবে।

চলতে থাকে লাগাতার আন্দোলন। ২০০৬-এর ২৬ আগস্টের কর্মসূচিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান আমীন, সালেকিন এবং তরিকুল। গুলিবিদ্ধ ৮ জন বেঁচে আছেন পঙ্গুত্বের যন্ত্রণা নিয়ে।

গুলিবিদ্ধ বাবুল রায় বলেন, আন্দোলন করতে গিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। নিহত তিনজন ও আহতদের কথাও স্মরণ করেন তিনি। যে জন্য এই ত্যাগ সেই কয়লাখনি মেনে নেবে না ফুলবাড়ীবাসী।

ওই ঘটনার পর এশিয়া এনার্জিকে প্রত্যাহার এবং নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণসহ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ৬ দফা চুক্তি করে সরকার। তবে ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডির ৯ বছরের কার্যকর হয়নি চুক্তি।

তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গে পানিসম্পদ বিপর্যস্ত হতো ফলে মরুকরণ দেখা দিত, আবাদী জমি নষ্ট হতো।

২৬ আগস্টকে ‘জাতীয় সম্পদ রক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করছে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। আর ফুলবাড়ীবাসী দিনটি পালন করছে ‘ফুলবাড়ী শোক দিবস’ হিসেবে।