২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অংশ নেয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তার কথায়, রাজনীতিতে ‘অচল মাল’আগামী নির্বাচনে ‘সচল’ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেছেন, আইন ও জনতার আদালত থেকে বেগম জিয়া রেহাই পাবেন না।
বাজেট নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে অধিকাংশ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরাই তুলে ধরেছেন বিএনপি জামায়াত জোটের সঙ্গে বর্তমান সরকারের অর্থনীতির তুলনামূলক চিত্র। যেখানে তারা সরকারকে ধন্যবাদ দেন, সরকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে বিনিয়োগে বাধা দেয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে হাসানুল হক ইনু বলেন, আপনি গণতন্ত্র, উন্নয়ন, সমৃদ্ধির রাজনীতি থেকে নিজেকে খরচের খাতায় নিয়ে গেছেন। এখনও আপনি তা না বুঝলেও আপনার দলের নেতাকর্মীরা, জনগন বুঝতে পেরেছেন। যতই লম্ফঝম্প করেন না কেনো আগুনে মানুষ পোড়ানোর অপরাধ থেকে, অন্তর্ঘাত, নাশকতার দায় থেকে আইন ও জনগনের আদালতে বেগম জিয়া রেহাই পাবেন না বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদার সখ্যতা গড়ে তোলার প্রানান্ত চেষ্টার সমালোচনা করে ইনু বলেন, মোদির সঙ্গে যতবারই করমর্দন করেন ইতিহাস আপনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী, যুদ্ধাপরাধী, আগুন সন্ত্রাসকে রাজনীতির বিষফোঁড়া হিসেবে চিহ্নিত করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই বিষফোঁড়া অশান্তি তৈরি করছে। এই বিষফোঁড়া গুলোকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে বাদ দিতে হবে।
২০১৯ সালে একটি নির্বাচন হবে এবং তা হবে গণতান্ত্রিক শক্তির সাথে গণতান্ত্রিক শক্তির উল্লেখ করে ইনু বলেন, কিন্তু ঐ নির্বাচনে গণতন্ত্রে অচল মাল সচল হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আগুন সন্ত্রাসী খালেদা জিয়ার সেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার কোন সুযোগ থাকবে না।
বাজেট নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা বলেছেন, ৫ জানুয়ারী নির্বাচন না হলে দেশে গণতন্ত্র থাকতো না, আর নির্বাচনই প্রমাণ করেছে ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে না বলেছে জনগণ।