চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ, দুই সচিবকে তলব

আইন মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিবকে ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় হাজির করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।

বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা করে আদালতে দাখিল না করায় বৃহস্পতিবার ওই আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির শুরুতেই নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের অগ্রগতির বিষয়ে আরও দুই সপ্তাহ সময় চান এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, মাসদার হোসেন মামলার আলোকে বিধিমালা সংক্রান্ত খসড়া করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন তারা। এই খসড়া করার জন্য সাক্ষাৎ করে ৭ দিন সময় চেয়ে নিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থা এমন অবস্থায় চলে গেছে তাতে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। বিধিমালা করার জন্য আরও সময় দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয় বলে এটর্নি জেনারেলকে সাফ জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।

সেসময় এটর্নি জেনারেল কিছু বক্তব্য রাখার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, নিম্ন আদালতের একজন বিচারকের দুর্নীতি হাতে নাতে ধরা হলেও আইন মন্ত্রণালয়ের কারণে ঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। আরেক বিচারক যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছেন সে কথাও এটর্নি জেনারেলকে স্মরণ করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। এমনকি নিম্ন আদালতকে ডিজিটাইজ করার প্রস্তাবনাও মন্ত্রণালয়ের কারণে আটকে গেছে বলে জানান তিনি।

এরপর প্রধান বিচারপতি আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে তলব করার কথা বললে এটর্নি জেনারেল কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে চাকরি বিধিমালার খসড়ার বিষয়ে জানতে ১২ ডিসেম্বর সকালে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক ও সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হককে হাজির করতে এটর্নি জেনারেলকে মৌখিক নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আইন মন্ত্রণালয় কারসাজি করবে আর বদনাম নিবে সর্বোচ্চ আদালতের- তা হবে না”।

তিনি আরও বলেন, কারও চাপ ছাড়াই জনগণ যাতে বিচার পায় তাই চান তারা।

পরে আইন সচিব চ্যানেল আইকে জানিয়েছেন, বিচারকদের চাকরি শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার খসড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে আইন মন্ত্রণালয়।