প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এবং আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় তিনি আবারো বলেন, নির্বাচনে না গিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করার জন্য জনগণের কাছে খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে।
অধিবেশনের শেষ দিনে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের পর সমাপনী বক্তব্য দিতে উঠে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাম্প্রতিক সময়ে তাকে বহন করা উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টা মানুষের সৃষ্টি ছিলো। এছাড়াও রোহিঙ্গা, কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ ইস্যু নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি প্রধামন্ত্রী জানান, বিনা বিচারে জেলে থাকা মানুষের তালিকা তৈরি হচ্ছে।
মাত্র ৫ দিনের সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে ৫টি বিল পাস হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যদের মতো বিদেশিদের অর্থে নয় বাংলাদেশ এখন নিজেদের উন্নয়ন বাজেটের ৯০ শতাংশ খরচ করে নিজেদের তহবিল থেকে।
আগামী ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। হিসাব অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়ে ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়েছে বিএনপি।
ওইদিন বঙ্গবভন থেকে বেরিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, রাষ্ট্রপতি বিদেশ থেকে আসার পর এ ব্যাপারে আলোচনার উদ্যোগ নেবেন।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ অাবদুল হামিদ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন।