চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আইএস’র হাতে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র!

২শ’ ২৪ আরোহীসহ মিশরের সিনাইয়ে রুশ বিমান ধ্বংসের দায় নিয়েছে আইএস। দাবির পক্ষে প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে দলটি। ভিডিওতে ভূপাতিত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানটিকে দেখা গেছে।

আইএস’র দাবি, সিরিয়ায় রুশ হামলার প্রতিবাদ হিসেবে এয়ারবাস এ-৩২১ রুশ বিমানে হামলা চালিয়েছে তারা। তবে মিশর এবং রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে আইএস’র এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। আইএস প্রকাশিত ভিডিওটি অস্পষ্ট হওয়ায় সেটিকেও প্রমাণ হিসেবে মানতে রাজি নয় তারা।

অবশ্য তদন্তকারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। শনিবার ধ্বংস হওয়া বিমানটির ছবি এই প্রথম মিশর সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, বিমানটিতে থাকা দু’টি ব্ল্যাকবক্সই উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল।

ব্ল্যাকবক্স দু’টি থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সিনাই উপত্যকায় ভূপাতিত হওয়ার আগ পর্যযন্ত এয়ারবাস এ-৩২১ একবারের জন্যও কন্ট্রোল টাওয়ারে জরুরী সাহায্য বার্তা ‘এসওএস’ পাঠায়নি, যেটা সাধারণত বিপদগ্রস্ত প্রতিটি বিমান থেকেই পাঠানো হয়।

এমনকি মিশরের বেসামরিক বিমানমন্ত্রী হোসাম কামাল জানান, বিপর্যওয়ের কিছুক্ষণ আগেও পাইলট এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের মধ্যে যোগাযোগ ‘স্বাভাবিক’ ছিলো। তিনি বলেন, ‘তাদের কথাবার্তায় অস্বাভাবিক কিছুই ছিলো না। এবং পাইলটও বিমানের গতিপথ পাল্টানোর কোনোরকম অনুরোধই করেননি।’

বিমানমন্ত্রী এও বলেন, কন্ট্রোলাররা বিমানের পক্ষ থেকে কোনো বিপদ সংকেত রেকর্ড করেননি। অথচ এর আগে তিনিই বলেছিলেন, বিমানের পক্ষ থেকে কারিগরী ত্রুটি সংক্রান্ত বার্তা পাঠানো হয়েছে। ফলে বিমান দুর্ঘটনাটিতে আইএস সম্পৃক্ততা বিষয়ে সরকারের বক্তব্য নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

আপাত তদন্তে পাওয়া তথ্যের পর এখন প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই যদি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটি দুর্ঘটনা না হয়ে আইএস’র হামলা হয়ে হয়ে থাকে, তবে ভূমি থেকে বিমান বিধ্বংস করার মতো শক্তিশালী অস্ত্র দলটির কাছে এলো কোত্থেকে?