ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার আঁকাবাঁকা খাল জুড়ে গড়ে উঠেছে ভাসমান বাজার। শত বছরের ওই বাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমান পর্যটকরা।
থাইল্যাণ্ডের ব্যাংককে এই রকম একটি ফ্লোটিং মার্কেট থাকলেও তা নির্মাণ করা হয়েছে কৃত্রিমভাবে। তবে বাংলাদেশের এ ভাসমান বাজারটি গড়ে উঠেছে পুরোপুরি প্রকৃতিকভাবে।
সেই বাজার দেখতেই পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির নেছারাবাদ মাদ্রাসা মসজিদের সামনে থেকে ট্রলারে যাত্রা। দু-পাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নদী পেরিয়ে খালে প্রবেশ। তারপর লোকালয় পেরিয়ে সামনে এগিয়ে চলা। এ সময় দেখা মেলে খালের দু’পাশে থাকা পেয়ারার বাগানসহ অন্যান্য ফল ও সবজি বাগানের। পাশ দিয়ে নৌকাগুলো চলে যায় জানা-অজানা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা নিয়ে।
অবশ্য মাঝে মাঝে পেয়ারা, কলা বোঝাই নৌকারও দেখা মেলে। এক সময় ভীমরুলি বাজার। যেখানে বাগান থেকে নৌকায় করে ফল ও সবজি নিয়ে আসেন চাষীরা। তবে পেয়ারার মৌসুমে যেনো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এই ভাসমান বাজার। বাজারের সৌন্দর্য দেখতে দুর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য পর্যটক।
ভাসমান বাজারের পাশেই রয়েছে মিষ্টির দোকানসহ অন্যান্য খাবারের দোকান। ভিমরুলী বাজার থেকে ভিন্ন পথে যাওয়া কুরিয়ানার পেয়ারা বাজারে।