মিরাজকে হারিয়ে যে সকালের শুরু, মুশফিকের সেঞ্চুরিতে সেই সকাল পার। মাঝখানে কোহলির আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং পজিশন। যার সামনে বোলার তাসকিন ব্যাটসম্যান হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন। আরেক প্রান্ত থেকে মুশফিক স্কোরটা ৩৮৮ পর্যন্ত টেনে নিয়ে থামলেন। ২৯৯ রান পিছিয়ে থেকে থামতে বাধ্য হল বাংলাদেশও।
কোহলি ফলোঅন না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে এক ওভার খেলার পরই লাঞ্চ বিরতির ডাক দিয়েছেন আম্পায়াররা। বাংলাদেশ সর্বশেষ ফলোঅনে পড়ে প্রায় তিন বছর আগে। ওয়েস্ট সফরের সেই দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
দিনের শুরুতে মিরাজ ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হন। রোববার প্রথম থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। স্টাম্পে ঢোকা একটি বলে ব্যাট দিতে দেরি করে ফেলেন।
আগের দিন করা ৫১ রানে মিরাজ ফিরে গেলে তাসকিনকে নিয়ে শুরু হয় অধিনায়কের লড়াই। তরুণ সতীর্থকে বারবার পরামর্শ দিতে থাকেন। অন্যদিকে কোহলি বারবার ফিল্ডিং পরিবর্তন করে বিভ্রান্ত করতে থাকেন। শর্ট স্লিপে প্রথমে ছিল দুইজন। পরে তিনজন। শর্টঅফে একজন। লেগ সাইডেও একজন। এমন আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংয়ের সামনে তাসকিন তবু ৩৫টি বল খেলেন। শেষ পর্যন্ত জাদেজার একটি বল ব্যাটের কানা নিয়ে শর্ট স্লিপে চলে যায়। ওঁৎ পেতে থাকা রাহানে ক্যাচ লুফে নেন।
ভারত প্রথম ইনিংসে ৬৮৭ রান তোলার পর ‘ডিক্লেয়ার’ করে। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। পরে সাকিব-মুশফিক ১০৭ রানের জুটি গড়লে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। এরপর মিরাজকে নিয়ে টাইগার দলপতি নিরাপদে দিন পার করেন। কিন্তু চতুর্থ দিন সেই ছন্দ আর ধরে রাখতে পারেননি।