শুক্রবারের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার করেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন তুরস্ক বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল আকিন ওজতুর্ক।
ওজতুর্কের এই স্বীকারোক্তির খবর প্রকাশ করেছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলু নিউজ এজেন্সি। বার্তা সংস্থাটি আটক হওয়া ওজতুর্কের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে। তাতে তার শরীরের ওপরের অংশে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
একই দিন ইস্তাম্বুলের সিসলি এলাকার ডেপুটি মেয়রকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থানের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা তা জানা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
ওজতুর্কের এই স্বীকারোক্তির আগে সোমবার সকালে রাজধানী ইস্তাম্বুলে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অভিযান চালায় এরদোগান সমর্থক নিরাপত্তাবাহিনী। তবে সেখান থেকে কাউকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগেই অবশ্য ৮ হাজার পুলিশকে বরখাস্ত করা হয় এবং শনিবার ভোর থেকেই গ্রেফতার হতে থাকে একের পর উচ্চ পদস্থ সেনা সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা। অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি বিচারক এবং সেনাকে আটক করে এরদোগান সরকার।
তবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে এমন দমন-পীড়ন তুরস্কের ন্যাটো সদস্যপদ প্রাপ্তির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। কারণ ইতোমধ্যে ‘গণতন্ত্র এবং মতবৈচিত্র’ দুটোই সাবধানতার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ন্যাটো নেতৃবৃন্দ। ন্যাটো সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য ৫টি প্রধান শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে ‘গণতন্ত্র এবং মতবৈচিত্র’।
এরদোগান সরকারের প্রতি সমর্থন জানালেও অশান্ত তুরস্কে চলমান দমন নীতি নিয়ে শঙ্কিত মার্কিন প্রশাসন। তুর্কি প্রশাসন থেকে ‘ভাইরাস’ দূর করা হবে এরদোগানের এমন হুঁশিয়ারিকে ‘অতি তাড়াহুড়ায় নেয়া সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র।