বয়স সবে ২১। এনগিদির বল দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। চতুর্থদিন ভয়ঙ্কর এক ইনকাটারে কোহলিকে ফিরিয়েছিলেন। শেষ দিন তার সামনে এক সেশনও ব্যাট করতে পারেনি সফরকারী ভারত। ছয় উইকেট নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টিম ইন্ডিয়াকে ১৩৫ রানে হারিয়ে দিয়েছেন অভিষিক্ত এই পেসার। প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন এক উইকেট।
সাউথ আফ্রিকায় ২৫ বছর ধরে কোনো টেস্ট সিরিজ জেতে না ভারত। এবার প্রথম ম্যাচে হার ছিল ৭২ রানের। দ্বিতীয় ম্যাচে ফেরার আশা উবে গেল আরও করুণ চিত্রনাট্যে।
চতুর্থদিন শেষে তিন উইকেট হারিয়ে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ছিল ৩৫। শেষদিন জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৫২।
আগের দিন ১১ রানে অপরাজিত থাকা পূজারা আর ৮ রান করে ফিরে যান। রানআউট হন তিনি। সঙ্গী পার্থিব প্যাটেলও ১০ রানের মাথায় রাবাদার বলে কাটা পড়েন। এরপর শুরু হয় এনগিদির তাণ্ডব। একে একে ফিরিয়ে দেন হার্দিক (৬), অশ্বিন (৩), সামি (২৮) এবং বুমরাহকে (২)।
এনগিদি নতুন বলে ভেতরে-বাইরে মুভ করাতে থাকেন। তার সঙ্গে মিশিয়ে দেন প্রায় ১৪০ কিলোমিটারের বাউন্স। কখনো স্লোয়ার। বিশেষ করে তার সহজাত ইনকাটার খেলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা।
আগেরদিন ১৬তম ওভারে তেমনি একটি বলে বিরাট কোহলিকে ভড়কে দেন। অফস্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করে বিষাক্ত বাউন্সার ভেতরে ঢুকে আসে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি প্রথম ইনিংসে দেড় শতাধিক রান করা ভারতীয় অধিনায়ক। ২০ বলে পাঁচ করে ফিরেছিলেন।
সেঞ্চুরিয়ানে টস হেরে আগে বল করতে নামে ভারত। মার্করাম (৯৪), হাশিম আমলা (৮২) এবং প্লেসিসের (৬৩) ব্যাটে ৩৩৫ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক সাউথ আফ্রিকা। চার উইকেট নিয়েছিলেন অশ্বিন। ইশান্ত শর্মা তিনটি।
জবাব দিতে নেমে কোহলি (১৫২) আর মুরালি বিজয় (৪৬) ছাড়া ভারতের আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। দলটি গুটিয়ে যায় ৩০৭ রানে। চার উইকেট নিয়েছিলেন মরকেল। ওই ইনিংসে এনগিদি ১৪ ওভার বল করে ১ উইকেট পান।
লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সাউথ আফ্রিকার এলগার (৬১), ভিলিয়ার্স (৮০) এবং প্লেসিস (৪৮) দলকে ২৫৮ পর্যন্ত নিয়ে যান। প্রথম ইনিংসের লিডসহ জয়ের জন্য ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৭।
সাউথ আফ্রিকাকে অলআউট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ সামি এবং বুমরাহ। দুজনে যথাক্রমে চারটি এবং তিনটি উইকেট নেন। ইশান্ত শর্মা নেন দুটি।