দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের বড় অংশই রোহিঙ্গা হলেও সংকটের জন্য মিয়ানমার দায়ি নয় বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার। তাই অভিবাসী ইস্যুতে জরুরি অধিবেশনে দেশটি অংশ নাও নিতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধানের কার্যালয়।
শরণার্থী সমস্যা সমাধানে ১৫টি দেশকে নিয়ে আগামী ২৯ মে থাইল্যান্ড একটি আলোচনার আয়োজন করেছে।
কিন্তু মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পরিচালক জ্যা হিতায় বলেছেন, আলোচনায় যদি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করা হয় তাহলে তারা অংশ নেবেন না। কারণ তারা এই শব্দটিকে স্বীকৃতি দেননি।
তিনি আরো বলেন, তারা অভিবাসী সমস্যাকে অবহেলা করছেন না। কিন্তু এই সমস্যার জন্য মিয়ানমার দায়ি তাও মেনে নেবেন না। থ্যাইল্যান্ডের মানব পাচার সংক্রান্ত আইনের দুর্বলতার জন্য সমস্যা এতোটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বলে তিনি মনে করেন।
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার নিকটবর্তী সাগরে এখনও ভাসমান অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমার শরণার্থীদের নৌকাগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছে। ভাসমান এই শরণার্থীরা খাবারের অভাবে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী প্রধান রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানরা দেশটির নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না পা্ওয়ায় সেখান থেকে চলে যাচ্ছেন। আর কিছু বাংলাদেশী অর্থনৈতিক কারণে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।