সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষ হতে না হতেই কিছু অসাধু হজ এজেন্সি ও মক্কা হজ মিশনের অব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাংলাদেশি হাজিরা। অনুমতি ছাড়া হজ পালন করার দায়ে ৭০ হাজার স্থানীয় হাজিকে সনাক্ত করেছে সৌদি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
হজের শেষ দিনে জামারায় পাথর নিক্ষেপ শেষে মিনায় তাবু ছাড়েন হাজিরা। মক্কা-মদিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বাংলাদেশি হাজিদের ফিরতি হজ ফ্লাইট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৮ অক্টোবরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন ১ লাখ ১ হাজার ৮২৯ জন বাংলাদেশি হাজি।
তবে মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনে পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ না দেয়ায় মিনা ও মক্কায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজিরা।
বাংলাদেশের ১ লাখের বেশি হাজির জন্য হজ মিশনে কাজ করছেন মাত্র দেড়শ’ জন কর্মী। মক্কা ও মিনায় পথ হারিয়ে রাস্তায়ও রাত কাটিয়েছেন অনেক বাংলাদেশি হাজি। কাউকে কাউকে দেখা গেছে বাংলাদেশ হজ মিশনের প্রাঙ্গণ ও বারান্দায়।
অবৈধ হাজি সনাক্তের বিষয়ে কথা বলেছেন সৌদি হজ সংক্রান্ত শুরা কমিটির চেয়ারম্যান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন নাইফ।
বাংলাদেশি হাজিদের হয়রানি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি বলেন, যদি সংশ্লিষ্ট কেউ জেনেশুনে এসব অব্যবস্থাপনা করবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পাশাপাশি জরিমানাসহ অন্যান্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
হজ মিশনের অব্যস্থাপনা ছাড়াও, হাজিদের কাবা শরিফের কাছাকাছি বাড়িতে না রাখাসহ নানা শর্ত ভঙ্গের দায়ে ৪০টি বেসরকারি এজেন্সিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।