বৃষ্টির কারণে টস হল নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট পর। আরও ১০ মিনিট পর ম্যাচ শুরু হয়ে এক ওভার খেলা হতেই আবারও বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ। পরে এক ওভার কমিয়ে খেলা যখন শুরু হল, তখন বৃষ্টি মতোই উইকেট পড়তে থাকল চিটাগং ভাইকিংসের। উইকেট বৃষ্টির ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ১১৭ রানের টার্গেট দিতে পেরেছে চিটাগং। ৮ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১১৬ রান।
প্রথম ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বৃষ্টি বিরতিতে যায় চিটাগং। মাঠে ফিরে পরে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় তারা। ওভারে জোড়া আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেই ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হন সাদ্দাম ইসলাম। আর শেষ বলে এভিন লুইসের হাতে ক্যাচ দেন ইয়াসির আলি। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
পাতা ঝড়ার মতো উইকেট যাওয়ার পথে নিজেকে আটকাতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। ওয়াহাব রিয়াজের বলে এনামুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬ রান করা চিটাগং অধিনায়ক। মেহেদী হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানাদড়ির উপর সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। আফগানিস্তান এই ব্যাটসম্যান ফেরেন আনলাকি থার্টিনে।
শুরুতে অন্যদের দেখানো পথে হাঁটেন শহিদ আফ্রিদিও। পরপর নিজের দুই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট (৬) ও সিকান্দার রাজা। ডেলপোর্ট ক্যাচ দেন শামসুর রহমানের হাতে, আর রাজা সাজঘরে ফিরেছেন সরাসরি বোল্ড হয়ে।
৬৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তিন অঙ্ক ছোঁয়া নিয়ে আশঙ্কায় পড়ে যায় চিটাগং। এই অবস্থানে ক্রিজের একপ্রান্তে ঘুঘু পাখির মতো বসে ছিলেন ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। পরিস্থিতি বিচার করে নিজের স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করেন। তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। ৩৫ বলে ৩৩ রান করার পর এনামুল হকে সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন আফগান তারকা।
পরে মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে চড়ে তিন অঙ্ক ছাড়ায় চিটাগং। নির্ধারিত ১৯ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৬ রানে থামে তাদের ইনিংস। ২৫ বলে তিন চার ও তিন ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।
কুমিল্লার হয়ে সাইফউদ্দিন, ওয়াহাব রিয়াজ ও শহিদ আফ্রিদি প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান।