প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আয়োজিত এক গণভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জেতার দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। নির্বাচনের এই ফল তাকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখবে।
৯৯.৪৫ শতাংশ ভোট গণনার পর নির্বাচন কমিশন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে ‘হ্যাঁ’ সিদ্ধান্তকে জয়ী ঘোষণা করেছে। নির্বাচনে হ্যাঁ সূচক ভোট পড়েছে প্রায় ৫১.৩৭ শতাংশ এবং ‘না’ সূচক ভোট পড়েছে ৪৮.৬৩ শতাংশ।
এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে বিজয়ী ঘোষণা করে তাকে নতুন করে ক্ষমতা গ্রহণের কথা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।
ক্ষমতায় বহাল রাষ্ট্রপতি থেকে সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রবর্তনের এই উদ্যোগ দেশকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন এরদোগানের সমর্থকেরা। কিন্তু প্রধান দুই বিরোধী দল এই ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে চ্যালেঞ্জ করেছেন। সিলবিহীন ব্যালট পেপারকে গ্রহণের সমালোচনা করে দেশটির দি রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) চ্যালেঞ্জ করে ৬০ শতাংশ ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছে।
নির্বাচন চলাকালে দিয়ারবাকির অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বের একটি নির্বাচন কেন্দ্রে সংঘর্ষের সময় গুলিতে তিন জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নির্বাচনের এই ফলকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত উল্লেখ করে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এরদোগান বলেছেন: ‘তুরস্কের জনগণের এ সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি কোনো সাধারণ সিদ্ধান্ত নয়, এটি কোনো সাধারণ দিন নয়।এটি তুরস্কের ভবিষ্যতকে পরিবর্তন ও উন্নত করতে সহায়তা করবে। এই পরিবর্তন খুব সহজেই আসবে। নতুন কিছুর জন্য যে পরিবর্তন আমাদের খুব প্রয়োজন। যে পরিবর্তন নিয়ে অনেকে হয়তো আগে চিন্তাই করেনি সে পরিবর্তন আমরা করবো।’
দেশের এক লাখ ৬৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন প্রায় পাঁচ কোটি ৫০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মাধ্যমে এরদোগানের ভীষণভাবে রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে।