সাভার প্রতিনিধি: সাভারের একটি টিকাকেন্দ্রে মানুষের উপচেপড়া ভিড় সামলাতে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী ও আনসার সদস্যও রয়েছেন।
আহত বেশ কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির পর করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রাখা হবে- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলমের এমন ঘোষণার পর টিকা নেয়া জন্য হুড়োহুড়ি তৈরি হয়। এই ঘোষণার পর থেকে পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে টিকা গ্রহণের প্রবণতা বেড়ে যায়।
তবে সরকার বলছে, ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিতে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন নার্সিং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আসেন। এরপর শুরু হয় হুড়োহুড়ি। সেসময় আনসার সদস্যেরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
টিকে নিতে আসা বেশ কয়েকজন জানান, আজ পরিস্থিতি সামলাতে স্বাস্থ্যকর্মী, আনসার ও পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছিল। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে আহত হন অন্তত ৩০ জন।
পুলিশের লাঠিপেটা ও হুড়োহুড়িতে বৃদ্ধ-নারী-পুরুষকে অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। আহত অনেককে ভর্তি করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেসময় অনেকেই টিকা না নিয়ে ফিরে যান।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, ‘টিকাপ্রত্যাশী হাজার হাজার মানুষের উপচেপড়া ভিড় আর হুড়োহুড়িতে স্বাস্থ্যবিধি উধাও হয়ে গেছে। কোনোভাবেই সেই চাপ সামলানো যাচ্ছিল না।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘বেশি মানুষের ভিড় সামলাতে থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স টিকাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে’।