ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন পরিস্থিতি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন আর দীর্ঘ ভোট গণনা প্রক্রিয়ার পর বাইডেনের সাথে পার্থক্য কম হওয়ায় আদালতে গেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় শেষ পর্যন্ত র্নিবাচনে আদালতের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন, বিজয় ছিনিয়ে আনতে প্রয়োজনে আদালতে যাবেন তিনি।
সেই হুঁশিয়ারি বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। আদালত ট্রাম্পের অভিযোগ আমলে নিলে তিক্ত আইনি লড়াইয়ে যাবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট পার্টি। কে হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশ্নের উত্তর পেতে কয়েক সপ্তাহও লাগতে পারে।
ট্রাম্প শিবির থেকে এরই মধ্যে পেনসিলভিনিয়া, উইসকনসিন, জর্জিয়া এবং মিশিগানে ভোট গণনা বন্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আইনি প্রক্রিয়ায় জটিলতা থাকলেও তা নিষ্পত্তির সময় খুবই সীমিত। ১৪ই ডিসেম্বর স্টেট ইলেক্টররা ইলেক্টোরাল ভোট জমা দেবেন। জানুয়ারির ২০ তারিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন এবং ঐতিহাসিকভাবে এই তারিখ হেরফেরের কোনো নজির নেই।
তাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেও বিচারকদের সময় খুবই সীমিত। বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, ট্রাম্প নির্বাচনে কারচুপির যে অভিযোগ এনেছেন তা আদালতে প্রমাণ করা কষ্টসাধ্য। ভোট গণনা থামানোর আবেদনগুলোরও তেমন ভিত্তি নেই।
মার্কিন নির্বাচন আদালতে গড়ানোর সবশেষ নজির ২০০০ সালে। সেবার মাত্র কয়েকশ ভোটের ব্যবধানে আল গোরকে হারিয়েছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। ভোট পুনর্গণনার আবেদন হলেও পরে তা নাকচ করে দেন আদালত।
এবারও তেমন কোনো আইনি লড়াই হবে কি না জানা অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্ব।