অনূর্ধ্ব১৯ যুব বিশ্বকাপে টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ় নেতৃত্বে মুগ্ধ সহযোগী প্রফেসর আমিনুল ইসলাম। ব্যাটে বলে যেভাবে তিনি দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে তাতে করে আগামী দিনের তারকা ক্রিকেটারের প্রতিচ্ছবি দেখছেন তিনি।
সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে স্বপ্নের সামাধি হলেও ব্যাটে বলে দলকে সামনে থেকে দিয়েছেন নেতৃত্ব তরুণ এ টাইগার তুর্কি। এরপরই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আমিনুল লেখেন:
ছেলেটা বলছিলো
-মনে হচ্ছে জীবনটা দিয়ে দেই!
আজ অনূর্ধ্ব১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলায় বাংলাদেশের বোলিং এর সময় কোন একজন খেলোয়াড় এই কথা বলেছে। ক্যামেরা মাইকের কল্যাণে আমরাও শুনে ফেললাম, ছেলেগুলো কি বলছে!
কতো হবে বয়েস এদের ১৭/১৮; কিন্তু দেশের জন্য, দেশের সাধারণ মানুষের জন্য যে তারা খেলছে এই উপলব্ধি তাদের হয়ে গেছে। তাই পারলে জীবন দিয়ে হলেও খেলায় জিততে চাইছিলো। শেষ পর্যন্ত আর জেতা হয়নি। আমরাও ফাইনালে যেতে পারলাম না।
কিন্তু এই ছোট বাচ্চা ছেলেগুলোর কমিটমেন্ট দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং এর সময় মনে হচ্ছিলো জগতের সমুদয় প্রেসার(চাপ) সে নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছে। নিজে তো ব্যাট করছে; চাপের মাঝে, অপর প্রান্তে যে ব্যাটিং করছে, তাকেও প্রতি বলের আগে বলে দিচ্ছে
-পেছনের পায়ে খেলিস; এখন মারিস না; ২০০ হলে পরে মারবো ইত্যাদি।
এই ছেলে শুধু ব্যাটিং’ই ভালো পারে না; বোলিং এও ওপেন করে, আবার শেষের দিকেও বোলিং করে। অর্থাৎ এই কম বয়েসেই একজন পরিপূর্ণ ক্রিকেটার হয়ে উঠেছে। অনূর্ধ্ব ১৯ লেভেলের খেলার আয়োজন করাই হয় মূলত ভবিষ্যৎ খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য।
আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে ইমরান খান, ইয়ান বোথাম, কপিল দেব, সাকিব আল হাসান কিংবা জ্যাক ক্যালিসের সাথে আমাদের মেহেদী হাসান মিরাজের নামও উচ্চারিত হবে। মিরাজ’ই হবে সাকিব আল হাসানের পরে এই গ্রহের সেরা অল রাউন্ডার। গুড লাক কিড’স! লাভ ইউ অল।