কয়েকদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ভারত। অসাধ্য সাধনে অগ্রণী ছিলেন মূলত ভারতীয় বোলাররা। অজি অধ্যায় শেষে সেই বোলারদের দাপটে নিউজিল্যান্ড সফরেও ছড়ি ঘোরানো শুরু করল বিরাট কোহলির দল। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের দুরমুশ করে ৮ উইকেটে জিতেছে সফরকারীরা।
এই মুহূর্তে বিশ্বের তৃতীয় সেরা দল নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড এবং ভারতের পরেই রয়েছে তারা। যার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। গত কয়েক বছরে উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে নিজেদের অন্যতম শক্তিশালী করেছে কিউইরা। তাই ধরা হচ্ছিল ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়ার থেকে বেশি চ্যালেঞ্জের হবে এই নিউজিল্যান্ড সিরিজ।
কিন্তু প্রথম একদিনের ম্যাচে সেটা হল না। শুরু করেছিলেন মোহাম্মদ সামি, শেষ করেন কুলদীপ যাদব। পেস-স্পিনের এই জুটির সুবাদে নিউজিল্যান্ডকে ১৫৭ রানে অলআউট করে হেসেখেলে রানতাড়ার পর সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত।
টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু তিনি জানতেন না সামি নামক একজন তখনই নিজের অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছেন। দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে প্রথম চার ওভারের মধ্যেই নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে ঘাড় মটকে দেন সামি।
রস টেলরকে সঙ্গে নিয়ে উইলিয়ামসন দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু যুযবেন্দ্র চাহালের সৌজন্যে সেটা ব্যর্থ হয়। স্কোরবোর্ডে ৮০ ওঠার আগেই চার উইকেট হারিয়ে মোটামুটি বেলাইন হয়ে যায় কিউই ব্যাটিং।
তখনও সামনে আসেননি কুলদীপ। তিনি আসতেই নিউজিল্যান্ড কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। একদিকে সামি যখন তিন উইকেট নেন, কুলদীপের দখলে যায় তখন চার উইকেট। বাকি তিন উইকেটের দুটি নেন চাহাল, একটি কেদার যাদবের।
১৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা কখনোই ভারতকে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলত না। তবে দেখার ছিল অস্ট্রেলিয়ায় রান না পাওয়া শেখর ধাওয়ান কিছু করতে পারেন কিনা। ধাওয়ান রান পেয়েছেন। ভারতও খুব সহজেই ম্যাচটি জিতে যায়।
এদিন ভারতীয় ব্যাটিং নয়, যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল অন্য একটি কারণ।
কখনো কেউ শুনেছে ভালো আবহাওয়ার জন্য ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেছে? এদিন সেটাই হল। অতিরিক্ত সূর্যের আলোর জন্য আধাঘণ্টা বন্ধ থাকল খেলা। আসলে চোখে আলো পড়ার ব্যাপারে আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ জানান ধাওয়ান। তার পরেই খেলা স্থগিত হয়ে যায়।
ফলে একটি ওভার কমে যায় ভারতের ইনিংসে এবং লক্ষ্যমাত্রা দু’রান কমে যায়। একদিকে ধাওয়ান ফর্মে ফিরেছেন তো অন্যদিকে বড় রানের দিকেই পা বাড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু মনঃসংযোগের ব্যাঘাত ঘটায় ৪৫ রানেই থেমে যায় তার ইনিংস। ধাওয়ান অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তার সঙ্গী আম্বাতি রাইডু। ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত।