চিকুনগুনিয়াতে আক্রান্তরা সুস্থ হওয়ার পরও ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শরীরের বিভিন্ন গিঁটে ব্যথায় ভুগতে পারেন বলে বিশেষজ্ঞ রিউমোটোলজিস্টরা জানিয়েছেন। তবে দুই তৃতীয়াংশ রোগী তুলনামুলক কম জটিল ব্যথায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই বাস্তবতায় চিকুগুনিয়া আক্রান্তদের ব্যথার ধরন ও স্থায়ীত্ব নিয়ে গবেষণা করবে বিএসএমএমইউ’র রিউমোটোলজি বিভাগ।
এক সন্তানের জননী আটাশ বছর বয়সী নিপা। ঈদের আগে চিকুনগুনিয়ার জ্বরে আক্রান্ত হন। জ্বর পরবর্তী সময়ে শরীরের বিভিন্ন গিঁটে ব্যথার কারণে দুই দফায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এখন তৃতীয় দফায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।
লক্ষণভিক্তিক উপসর্গ বিবেচনায় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিপা চিকুনগুনিয়া পরবর্তী জটিল আর্থারাইটিসে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞ রিউমোটোলজির চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার সৈয়দ আতিকুল হক বলছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্তদের জ্বরের পর চতুর্থ সপ্তাহ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ঠান্ডা বা গরম সেঁক এবং প্রদাহ নাশক ওষুধই উত্তম চিকিৎসা।
গিঁটে ব্যথা জীবনঘাতী নয় তাই চিকিৎসকরা চিন্তিত না হতে বলেছেন। তবে চিকুনগুনিয়া পরবর্তী ব্যথার সাথে বিভিন্ন ধরনের বাতজ্বর বা আর্থারাইটিসের ব্যথার ধরনের পার্থক্য করে আরো উত্তম চিকিৎসার জন্য গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএমএমইউ’র রিউমোটোলজি বিভাগ।
গবেষণার আওতায় আগস্টের প্রথম সপ্তাহে চিকুনগুনিয়া আর্থারাইটিস ক্লিনিক চালু হচ্ছে। সেখানে চিকুনগুনিয়া পরবর্তী ব্যাথায় আক্রান্তরা চিকিৎসা পাবেন।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: