ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এক ও ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ টি-টুয়েন্টির দল দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাদ পরেছেন টি-টুয়েন্টির ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইল। চোট কাটিয়ে আইরিশদের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে ফিরছেন অধিনায়ক কাইরেন পোলার্ড। নেতৃত্ব দেবেন ইংলিশদের বিপক্ষেও।
বয়স ৪২ পার হতে চলেছে। এখনো ব্যাট-প্যাড তুলে রাখেননি গেইল। সবশেষ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সতীর্থরা মাঠেই ফেয়ারওয়েল দিয়েছিলেন তাকে। পরে দুদিন যেতে না যেতেই গেইল বলে বসেন- আমি অবসরে যাচ্ছি না।
জ্যামাইকান তারকা ঘরের মাঠে চেনা সমর্থকদের সামনে অবসরে যেতে চেয়েছিলেন। আইরিশদের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টির জন্য অপেক্ষা ছিল গেইলের বিদায়ী মঞ্চ গড়ার। বোর্ড সেই সুযোগ দিলো না। করোনা প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জ্যামাইকান সরকার। তাতে ইচ্ছেপূরণর অপেক্ষা দীর্ঘতর হচ্ছে গেইলের।
আয়ারল্যান্ডের সাথে খেলেই পাঁচ টি-টুয়েন্টির জন্য ইংল্যান্ডে যাবে উইন্ডিজ। সেখানে না থাকাটা অনুমিতই ছিল। তাকে আর মাঠে দেখা যাবে কিনা সেটা নিয়েই এখন সংশয়।
উইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্স বলেছেন, ‘কোভিডের কারণে বারবার দলে পরিবর্তন আনতে হয়। শেষ মুহূর্ত অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের নিয়মিত অধিনায়ক এখন চোটমুক্ত। দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে, যারা নিজেকে উজাড় করে দিতে সক্ষম। আইরিশ ও ইংলিশদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। আমরা চাই ভালো খেলে ২০২৩ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করতে। সেই সাথে ২০২২ টি-টুয়েন্টিতে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিতে।’
৮ জানুয়ারি একদিনের ম্যাচ দিয়ে আইরিশদের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজ শুরু হবে ক্যারিবীয়দের। একমাত্র টি-টুয়েন্টিটি ১৭ জানুয়ারি। পরের সিরিজ ইংল্যান্ডে বিপক্ষে শুরু ২৩ জানুয়ারি।
উইন্ডিজের টি-টুয়েন্টি দল: কাইরেন পোলার্ড (অধিনায়ক), নিকোলাস পুরান (সহ-অধিনায়ক), ফ্যাবিয়ান অ্যালেন (শুধু ইংল্যান্ড সিরিজ), ড্যারেন ব্রাভো (শুধু ইংল্যান্ড সিরিজ), রোস্টন চেজ, শেলডন কটরেল, ডমিনিক ড্রেকস, শাই হোপ, আকিল হোসেইন, জেসন হোল্ডার, ব্র্যান্ডন কিং, কাইল মেয়ার্স, রোভম্যান পাওয়েল, রোমারিও শেফার্ড, ওডেন স্মিথ, হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।