প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যেন এ দেশের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকে। এক্ষেত্রে সকলের কর্মক্ষেত্রে সন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করার মতো পরিবেশ এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
মূলত সরকারি কাজে আরো গতিশীলতা আনার পাশাপাশি তা যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করার তাগিদ থেকেই করা হয় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। এবার দ্বিতীয় বারের মতো মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে ৪৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে সই করেন।
গেলো বছরের ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে তা শুধরে নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাতে আর তিন বছর সময় আছে। এরপর নির্বাচন। তারপর জনগণ যাকে ভোট দিবে সেই নির্বাচিত হবে।
‘এই তিন বছরে আমরা বাংলাদেশকে এমন অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই যেন কেউ আর এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলতে না পারে। সাধারণ জনগণ যেন আর কখনো শোষিত-বঞ্চিত না হয়। উন্নয়নের এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।’
তিনি বলেন, ‘সেজন্য আপনারা যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি; আপনাদেরই কাজ করতে হবে। সরকার পরিবর্তন হলে খানিকটা অসুবিধা হয় তা মানছি। কিন্তু আপনাদেরই এই কাজটা এগিয়ে নিতে হবে।’
সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীর কাছে আমাদের অঙ্গীকার; আমরা সুশাসন নিশ্চিত করবো। বার্ষিক কর্মসম্পাদনা চুক্তিতে যেসব বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে সেসব আরো আন্তরিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাহলেই সুশাসন নিশ্চিত করতে পারবো।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবার কর্মসন্তুষ্টি যেন থাকে, সেজন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবেন।
এর আগে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার চুক্তিগুলো স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।