অবৈধ পথে সাগর দিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর পর অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন বছরের পর বছর। এদের কারো মৃত্যু হয়েছে, কেউ কেউ আটক রয়েছেন কারাগারে। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে ফিরে আসা কক্সবাজারের কয়েকজন যুবক এসব তথ্য জানান।
কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে রামু উপজেলার দারিয়ারদিঘী গ্রাম। ওই এলাকার মৃত কাদের হোসেনের পুত্র মো. আলম নিখোঁজ রয়েছে গত ৩ বছর ধরে। গোটা এলাকায় এমন নিখোঁজ শিশু ও কিশোরের সংখ্যা অনেক। যাদের অধিকাংশেরই বয়স ১২ থেকে ১৮ এর মধ্যে।
এই এলাকার অধিবাসীরা বলছেন, দালালদের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় গিয়ে অনেকেই এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের কোনো সন্ধান কেউ পাচ্ছেনা।
খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এই এলাকার বহু লোক অবৈধভাবে নৌপথে পাড়ি দিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
এলাকার ভুক্তভোগীরা মনে করছেন থাইল্যান্ডে যে গণকবর পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে অনেকেই থাকতে পারে।
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার ক্যাম্প থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসা কয়েকজনের দাবি সরকার যেন সেইসব দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন।
এ বিষয়ে সাম্প্রতিক পুলিশি তৎপরতা বেড়েছে বলে জানান কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ।
তিনি বলেন, মানব পাচাররোধে আমরা জিরো টলারেন্স হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। মানব পাচাররোধে কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া এলাকার সুশীল সমাজ, স্থানীয় জনগণ নিয়ে মানবপাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডে গণকবর পাওয়ার পর কক্সবাজারের ছয়জন চিহ্নিত মানব পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সাজাভোগ করে দেশে ফেরা এসব যুবককে স্বনির্ভর করতে নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছে বেসরকারি সংস্থা ইপসা। তাদের হিসেবে গত এক বছরে কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়েছে কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ।