চরের পতিত জমির সঠিক ব্যবহার, নতুন জাতের ফসলের প্রসার এবং অকৃষি আয়ের সুযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের এসডিএস সভাকক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগের প্রসার, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন, যোগাযোগ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেসময় চরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি, চরের ভূমি ব্যবস্থাপনা উন্নত করাসহ আরও বিভিন্ন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে চরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণেরও আহ্বান জানানো হয়। এভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে চরের খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক বৈষম্য কমে আসবে জানান বক্তারা।
ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের পক্ষে উন্নয়ন সমন্বয় এবং বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারেরর সহায়তায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বগুড়া) ও সুইস কন্ট্যাক্ট বাস্তবায়িত এমফোরসি প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত কর্মশালায় অতিথিরা এসব মতামত দেন।
তারা আরও বলেন, চর দেশের এক অপার সম্ভাবনার জায়গা। কিন্ত উন্নয়নের ক্ষেত্রে চরাঞ্চল নানা ধরনের বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। চরের বঞ্চনা ও বৈষম্য কমিয়ে আনতে হলে অবশ্যই দীর্ঘ মেয়াদী টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
কর্মশালায় জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. হাবিবুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাফিয়া ইকবাল, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোয়াজজেম হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শ্যামল কুমার শর্মা, জেলা সিনিয়র এসিসট্যানট জাজ মো. খালেদ মিয়াসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধবতন কর্মকর্তা অংশ নেন। এ ছাড়াও চরাঞ্চলে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা এতে অংশ নেন।
তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে চরের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও করণীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করেন ও মতামত দেন।
কর্মশালা পরিচালনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী এবং ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স এর সদস্য সচিব জাহিদ রহমান। এমফোরসির পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ম্যানেজার উৎপল কুমার দত্ত।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সমন্বয়ের হেড অফ প্রোগ্রামস শাহীন উল আলম।