গত এপ্রিলে আইপিএলে প্রথম ম্যাচে নেমে কেন উইলিয়ামসন লিগামেন্টের চোটে পড়েন। এরপর থেকে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে আছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। হাঁটুর অস্ত্রোপচার করানো কিউই তারকা ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার জন্য ফিটনেস প্রমাণে দুই সপ্তাহ সময় পেয়েছেন।
বিশ্বকাপের জন্য সব দলকে আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫ জনের স্কোয়াড আইসিসির কাছে জমা দিতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার অনুমোদন ছাড়া স্কোয়াডে পরিবর্তন আনা যাবে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজের দলে ৩৩ বর্ষী কেনকে রাখা হয়নি। তবে দলের সঙ্গে সফরে গিয়ে পুনর্বাসন চালিয়ে যাচ্ছেন। নেটে অনুশীলন ও ব্যাটিং করছেন।
উইলিয়ামসনকে বিশ্বকাপে খেলানোর জন্য সকল চেষ্টাই করা হবে, জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টেড। বলেছেন, ‘আমাদের হাতে দল ঘোষণার জন্য এখন থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় আছে। তাকে প্রতিটি সুযোগ দিতে এবং সেই পুরো সময়টা সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই।’
‘তিনি এখন পুরোপুরি পুনর্বাসনের মধ্যে আছেন। নেটে আবারও ব্যাটিং করছেন, যা দেখতে খুব ভালো লাগছে। আসলেই ভালো উন্নতি করছেন। কিন্তু তাকে নিয়ে অনেক কাজ করা বাকি। আমরা তাকে যে স্থানে দেখতে চাই, সেটি যেন নিশ্চিত করতে পারি।’
ভারতে হতে চলা বিশ্বকাপে প্রথমদিকের কয়েকটি ম্যাচ খেলার মতো ফিট না হলেও উইলিয়ামসনকে স্কোয়াডে রাখা হতে পারে। অথবা রিজার্ভ খেলোয়াড়দের তালিকায় ৩৩ বর্ষী তারকাকে রাখা হতে পারে।
স্টেডের ভাষ্য, ‘এমন সম্ভাবনা আছে যে কেনের নাম স্কোয়াডে থাকলেও তাকে টুর্নামেন্টের শুরুতে পাওয়া যাবে না। শুরু থেকে খেলার জন্য তিনি প্রস্তুত হতে পারেন, আবার নাও হতে পারেন। অবশ্যই আমরা তাকে বিশ্বকাপে চাই। আবার বৃহত্তর দিকটাও ভাবনায় রাখতে হবে। কেন উইলিয়ামসনকে তার ক্যারিয়ারের বাকি সময়টায় আমরা ফিট দেখতে চাই।’
‘কেন ঠিক কোন অবস্থানে আছেন, এটা নিয়ে তার সঙ্গে আমার আলোচনা হবে। যাতে আমরা দলের জন্য সেরা ফলাফল পেতে পারি। কেন উইলিয়ামসন এবং তার দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ারের জন্য কোনটা ভালো, তাও ভাবতে হবে।’