তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ যাওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছে চীন। বৃহস্পতিবার ইউএসএস চুং-হুন নামের মার্কিন জাহাজটি তাইওয়ান ও চীনের মূল ভূখণ্ডের মাঝের জলসীমা অতিক্রম করে।
মার্কিন বাহিনী বলছে, ইন্দো-প্যাসিফিক সমুদ্রে মুক্তবস্থা ও স্বাধীন চলাচল অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ স্পষ্টভাবেই শক্তির প্রদর্শন এবং এতে ওই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, আরলেই বার্ক-শ্রেণির গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার চুং-হুন তাইওয়ান প্রণালীর মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছে।
‘তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে চুং-হুন যুদ্ধজাহাজের ট্রানজিট মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরে’, বিবৃতিতে বলা হয়।
ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ এক বিবৃতিতে দৃঢ়ভাবে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সমস্যা উস্কে দেয়া, উত্তেজনা বৃদ্ধি করা ও তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার মত কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজগুলো চলাচলের স্বাধীনতা ভোগের নামে প্রায়ই শক্তি প্রদর্শন করে। এটা এই অঞ্চলকে মুক্ত ও অবাধ রাখার কোন বিষয় নয়।
‘চীন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং সব ধরনের হুমকি ও উস্কানির বিরুদ্ধে জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। একই সাথে নিজ সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে চীন’, বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন যুদ্ধজাহাজের চলাচল পর্যবেক্ষণ ও পাহারা দেওয়ার জন্য তারা সৈন্যদের নিয়োজিত করে এবং সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে ছিল।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি প্রণালী দিয়ে উত্তর দিকে যাত্রা করে। তাইওয়ানের বাহিনী জাহাজটির চলাচল পর্যবেক্ষণ করেছে, যা নিতান্তই সাধারণ একটি ঘটনা ছাড়া ভিন্ন কিছু না।