এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
যুদ্ধের মধ্যে হঠাৎ কিয়েভ সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন। রুশ হামলায় কোনঠাসা হয়ে পড়া ইউক্রেনকে ‘ভরসা’ দিতেই মূলত কিয়েভ গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছান মার্কিন মন্ত্রী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পোলিশ সীমান্ত থেকে একটি স্লিপার ট্রেনের মাধ্যমে ৯ ঘণ্টার যাত্রার পর আজ সকালে ইউক্রেনের রাজধানীতে পৌঁছান ব্লিঙ্কেন। তিনি আজ রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করবেন। এই সময় তিনি ইউক্রেনীয়দের ‘দৃঢ় আশ্বাসের’ বার্তা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনকে আরও সামরিক ও আর্থিক সহায়তার বাইডেন প্রশাসনের বার্তা নিয়েই কিয়েভ গেছেন ব্লিঙ্কেন।
ইউক্রেনের ঊর্ধ্বতন কর্মর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা ইউক্রেনকে মার্কিন সমর্থনের কথা জানাতেই আমি কিয়েভ এসেছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরেরও মধ্যেও চলছে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে ইউক্রেনের প্রচেষ্টা। এসময় দেশটির যুদ্ধারা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের কাছে একটি বড় রাশিয়ান অনুপ্রবেশ আটকাতে সেখানে যুদ্ধ করছেন।
এরআগে গত রোববার থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেনে আকস্মিক সফরের জন্য বিমান ও ট্রেনে ভ্রমণ শুরু করেন। অবশেষে তিনি স্লিপার ট্রেনযোগে পোলিশ সীমান্ত থেকে ৯ ঘণ্টার যাত্রার পর কিয়েভে পৌঁছান। এর আগে গতকাল সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব পোলিশ শহরের একটি বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করে।
গত ২৪ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদিত গোলাবারুদ, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছাতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি, ব্লিঙ্কেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে মার্কিন সমর্থনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করবেন এবং ইউক্রেনের ভবিষ্যত নিয়ে বক্তব্যও দেবেন বলে জানা যায়।