চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভিসা নীতির বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়ায় ‘সন্তুষ্ট’ যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন ইস্যুতে মার্কিন নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে সরকার যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্তুষ্ট’ বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক প্রশ্নের জবাবে তার দেশের এই অবস্থানের কথা জানান।

ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানোয় আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তাকে এগিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে স্থায়ী উপায় গণতন্ত্র। এ জন্যই আমরা এই ঘোষণা দিয়েছি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই।’

‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বিরোধী দলকে যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ জানাবে কিনা’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের কী করা উচিত বা করা উচিত নয়, সে বিষয়ে আমি কথা বলতে যাচ্ছি না। আমি বলব যে এই প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে। এ জন্য আমরা নতুন এই নীতি ঘোষণা করেছি।’

উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত বুধবার বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিসায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান তৃতীয় মাত্রায় যোগ দিয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছিলেন, চারটি সুনির্দিষ্ট কারণে ভিসা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এগুলো হলো: ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট কারচুপি, বাক স্বাধীনতা বা সমাবেশ করার স্বাধীনতা হরণ এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে না দেওয়ার উদ্দেশ্যে সহিংসতা।

এই নীতি সুষ্ঠু ও গঠনমূলকভাবে এবং সরকার বা বিরোধীদল নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে বলে তিনি জানান। সহিংসতার নির্দেশদাতা এবং নির্দেশ পালনকারী উভয়ের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য হবে বলে তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন। যারা নির্দেশ অনুযায়ী সহিংসতা, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন ও ভোট জালিয়াতি করবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য অযোগ্য হবে। একইভাবে যারা এসবের নির্দেশদাতা হবেন তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

এ ঘোষণার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিক্রিয়ায় জানায়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে।