একের পর এক বের করা হচ্ছে মৃতদেহ। উদ্ধারকর্মীরা যখন মৃতদেহ দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, তখন নিজেদের মাঝে শক্তি ফিরে পান জীবিত কাউকে উদ্ধার করে। সাত বছরের শিশু মোহাম্মদকে জীবিত উদ্ধার করে নেওয়া হয়েছে চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক ডা. মাসরি শিশুটিকে দেখেই কাঁদতে থাকেন।
ডা. মাসরি বলেছেন: শিশুর দৃষ্টিতে আমি নিজেকে পেয়েছি। আমি জানি না কেন এমন হয়েছে, কিন্তু শিশুটি আমার দিকে তাকাতেই আমি কান্না শুরু করলাম।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া সোমবারের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পরে চিকিৎসক যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখনি এমনটা ঘটে। ডা. আহমেদ আল মাসরি জানান, তিনি এবং অন্য একজন ডাক্তার বিরোধপূর্ণ উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার শহর আফরিনে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা আহতদের চিকিৎসা করছিলেন। এরপর সাত বছর বয়সী মোহাম্মদকে আনা হয়। তাকে ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকারী দল যখন তাকে ধ্বংস্তুপ থেকে বের করে নিয়ে আসে, তখন শিশুটির মা, বাবা এবং ভাই-বোনদের মৃতদেহ পাশেই পড়েছিল।
ডা. মাসরি বলেন, ছেলেটি যেভাবে আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল, আমার মনে হয়েছিল যেন সে আমাদের বিশ্বাস করে। সে জানে যে সে এখন নিরাপদ। ডা. মাসরি আল-শিফা হাসপাতালের একজন আবাসিক সার্জন। এটি সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি, একটি দাতব্য সংস্থা দ্বারা পরিচালিত। তিনি জানান, দুর্যোগের পরপরই তারা প্রায় দুই শতাধিক রোগীর চিকিৎসা করেছেন।