পায়ের চোটের কারণে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ কৃষ্ণা রানি সরকার। ফুটবল থেকে অবসরে গেছেন সিরাত জাহাত স্বপ্না। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে ফরোয়ার্ড লাইনে উপযুক্ত স্কোরারের সংকট পড়েছে বলে শুরু হয়েছিল আলোচনা। সেই অভাব যেন টেরই পেতে দিলেন না ঋতুপর্ণা চাকমা।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের দর্শকরা বারবার দেখেছে ঋতুপর্ণার ক্ষিপ্র গতি। বল নিয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বারবার আক্রমণ হেনে প্রতিপক্ষের জন্য হয়ে উঠেছিলেন ত্রাস। নিজে জোড়া গোল করার পাশাপাশি দুই গোলে ছিল তার অ্যাসিস্ট। স্কোরারের সংকট আলোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে খেলে ফেললেন ক্যারিয়ারের স্মরণীয় ম্যাচ।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সদা হাস্যজ্জ্বল এ ফুটবলার বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে এর আগেও গোল করেছি। তবে কখনো দুই গোল ছিল না। আজ জোড়া গোল করেছি এবং ম্যাচ জিতেছে। আমার ক্যারিয়ার অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ।’
জাতীয় দলে সাধারণত বদলি হিসেবে খেলেন ঋতুপর্ণা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষ দুই ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন। নিয়মিত শুরুর একাদশে খেলার ধারাবাহিকতা রাখতে চান জানিয়ে বলেন,‘ভালো পারফরম্যান্স করলে কোচ অবশ্যই একাদশে রাখবেন। আমার যা কাজ করার সেটি চালিয়ে যাব।’
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ঋতুপর্ণার উপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছিলেন লাল-সবুজের দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু । রাঙামাটির এই ফুটবলার সেই আস্থার প্রতিদান দারুণভাবেই দিলেন।