রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ৫-৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ৪৩তম ‘আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন’ এবং ১৮তম ‘পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে’ যোগ দিতে সোমবার ৪ সেপ্টেম্বর জাকার্তার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
রাষ্ট্রপ্রধান ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন আজ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি ১৯১০) সোমবার দুপুরে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন।
বঙ্গভবনের মুখপাত্র বলেন, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ২০২৩ সালের আসিয়ান চেয়ার জোকো উইডোডোর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে (জেসিসি) ৫-৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ৪৩তম আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা) শীর্ষ সম্মেলনে এবং ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
‘প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু প্রেক্ষিত-আসিয়ান’ থিমকে সামনে রেখে জাকার্তায় ৪৩ তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন তিন দিনব্যাপি ব্যস্ত কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মো. সাহাবুদ্দিন জাকার্তার হোটেল লে মেরিডিয়ানে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অবস্থান করবেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ১৮তম ‘পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনেও যোগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতি সেখানে ‘গেস্ট অব চেয়ার’ হিসেবে আইওআরএ’র দৃষ্টিকোণ থেকে ‘প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুকে সমর্থন করার জন্য আঞ্চলিক স্থাপত্যকে শক্তিশালী করার বিষয়ে সমাপনী ভাষণ দেবেন। এছাড়া, রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোডো এবং থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং তিমুর-লেস্টের আরও কয়েকজন রাষ্ট্রীয় নেতার সঙ্গে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি হুতান কোটা গেলোরা বুং কার্নোতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকোই কর্তৃক আয়োজিত ‘গালা নৈশভোজে’ যোগ দেবেন।
এটা আশা করা হচ্ছে যে জাকার্তায় ৪৩ তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিও প্রণয়ন করবে, যেমন-আসিয়ান অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, সুনীল অর্থনীতি এবং সবুজ অর্থনীতি, সেইসাথে ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পেমেন্ট ইকোসিস্টেম সম্পর্কিত চুক্তির বিষয় রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সফরে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে জ্বালানি ও স্বাস্থ্য সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৪৩ তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮ তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন শেষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা স্বাস্থ্যের পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে জাকার্তা ত্যাগ করবেন। সূচি অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (বিজি-৫৮৫) সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।