২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক বছরে মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক কম। যদিও সরকারের হিসাবে গত এক বছরে দেশের মানুষের আয় বেড়েছে। মজুরিও বেড়েছে। কিন্তু সবই কাগজে-কলমে হিসাব। দেশে মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার এক বছর ধরেই কম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের মে মাস থেকে প্রতি মাসে যত মূল্যস্ফীতি হয়েছে, এর চেয়ে কম হারে মজুরি বেড়েছে। গত এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশের বিপরীতে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
গত এক দশকের মধ্যে এবারই এত দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার কম। বিবিএস বলছে, দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। এমন কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা ৬ কোটির মতো। তাঁদের প্রায় সিংহভাগই মজুরিনির্ভর। এই শ্রেণির মানুষের ওপরই মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি পড়ছে।
এক বছর ধরে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত সব ধরনের জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকার বলছে ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক কারণেই এই উচ্চ মূল্যস্ফীতি কিন্তু বাস্তবে পুরোটা সত্য নয়। গত ১২ মাসে ১২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমেছে। ডলার-সংকট না কাটলে পণ্যের সরবরাহ-সংকট কাটবে না। রিজার্ভ কমতেই থাকবে। জিনিসপত্রের দাম ঠিক রাখতে হলে বাজার নির্বিঘ্ন রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে এবারের অর্থবছরে।
ডলার-সংকট, কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় না হওয়ার বাস্তবতায় এবারের বাজেটে সবার নজর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থমন্ত্রী কী ঘোষণা দেন তার উপর। দেশে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি। ৯ মাসে মূল্যস্ফীতি ৮.৫ এর নিচে নামে নি।