চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভিনগ্রহের প্রাণীর কার্যকলাপের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি নাসা

নাসার বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের একটি দল জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ভিনগ্রহের প্রাণীর কার্যকলাপের বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রমাণ মেলেনি। কিছু ঘটনাকে বিদেশি সামরিক তৎপরতা হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছে নাসা।

বিবিসি জানিয়েছে, সংস্থাটি ইউএফও সংক্রান্ত ৮০০টি প্রতিবেদন পরীক্ষা করেছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য মাত্র ৮শ’ ঘটনা যথেষ্ট নয়। অনেক ক্ষেত্রেই তথ্যের অপ্রাপ্তি ও তথ্য সংগ্রহের ওপর বিধিনিষেধের কথাও জানিয়েছে নাসা।

অজানা বিস্ময়কর ঘটনা বা ইউএপি’র ১৬ সদস্যের দলটি বুধবার তাদের প্রথম বৈঠকে আরও উন্নতমানের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিমান বা পরিচিত প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না, এমন বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে ইউএপি।

অল-ডোমেন অ্যানোমালি রেজোলিউশন অফিসের (এএআরও) পরিচালক শন কির্কপ্যাট্রিক বলেন, আমাদের কাছে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ১০০ টি নতুন প্রতিবেদন আসে। যার মধ্যে মাত্র ২ থেকে ৫ শতাংশ অস্বাভাবিক কিছু।

বৈঠকের এক পর্যায়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নৌবাহিনীর একটি বিমান থেকে তোলা এক ভিডিও দেখানো হয়। যেখানে রাতের আকাশে বেশ কিছু বিন্দু দেখা যায়। পরে দেখা যায় এটি একটি বাণিজ্যিক বিমান ছিল। অন্যান্য দর্শনগুলো আরও রহস্যময়।

২০২১ সালে পেন্টাগনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে সামরিক পাইলটরা এরকম ১৪৪টি ঘটনা দেখেছে, যার মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবই স্বাভাবিক।

কির্কপ্যাট্রিক আরও উল্লেখ করেছেন, গোপনীয়তার উদ্বেগ সংস্থার তদন্তকে সীমাবদ্ধ করে তুলেছে। আমরা যেকোন সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করতে পারি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এটা পছন্দ করে না যখন আমরা আমাদের যন্ত্রপাতিকে তাদের বাড়ির উঠানে নিয়ে যাই।

নাসার ইউএপি দলের চেয়ারম্যান ডেভিড স্পারগেল অপটিক্যাল বিভ্রমের কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, একবার একজন পাইলট অপটিক্যাল বিভ্রম সম্পর্কে একটি গল্প বলেছিলেন। তিনি এবং তার সহ-পাইলট ভার্জিনিয়া বিচের কাছে উড়ছিলেন এবং তার সহকর্মী নিশ্চিত হয়েছিলেন তারা ইউএফও দেখেছে। পরে তারা আবিষ্কার করে যে এটি একটি বেলুন ছিল।

এছাড়াও হয়রানি এই ধরণের গবেষণাকে বাধাগ্রস্ত করে বলে স্পারগেল বলেন, বানিজ্যিক পাইলটরা এই ধরণের দৃশ্যের রিপোর্ট করতে খুব অনিচ্ছুক এবং কিছু বিজ্ঞানী তাদের কাজের জন্য অনলাইনে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন।

বুধবারের এই বৈঠকটি এত লক্ষণীয় হওয়ার কারণ হলো নাসার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। স্পেস এজেন্সিটি কয়েক দশক ধরেই ইউএফও নিয়ে কাজ করে আসছে।