ফ্ল্যাট বরাদ্দের বায়না টাকা ফেরত না পেয়ে এক ফ্ল্যাট ব্যবসায়ীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)কে সাড়ে ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বুধবার ১১ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে আটকে রাখা হয়।
অবরুদ্ধ হওয়া ব্যক্তির নাম হোসাইন আলী। তিনি রাজশাহীর ‘আদ-দ্বীন প্রোপার্টিজ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তবে অবরুদ্ধ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হোসাইন আলী।
তিনি বলেন, ‘আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। স্যাররা ক্লাস নিচ্ছিলেন এজন্য তাদের সাথে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করেছি।’
শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষক একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য সাত লাখ টাকা বায়না দেন ‘আদ-দ্বীন প্রোপার্টিজ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসাইন আলীকে। ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়ে পরে নিতে অস্বীকার জানান ওই শিক্ষকরা। তবে ফ্ল্যাট বরাদ্দের সেই বায়নার সাত লাখ টাকা ফেরত দেননি হোসাইন আলী।
দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দিবেন বলে গড়িমসি করছিলেন। আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় সহ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলামের কক্ষে হোসাইন আলী একটা কাজে মিটিং করতে আসেন। সেখানে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া কয়েকজন শিক্ষক তাকে দেখতে পেয়ে মিটিং শেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের একটি কক্ষে নিয়ে আসেন। সেখানে শিক্ষকরা বায়না টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন।
তিনি দিতে অস্বীকার করায় তাকে দুপুর ১২টার পর থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে হোসাইন আলী ৭ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক দিয়ে চলে যান।
হোসাইন আলী বলেন, তিনি সহ-উপাচার্যের কাছে একটি কাজে এসেছিলেন। পরে ওই শিক্ষকরা তাকে দেখতে পেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভবনে কথা বলার জন্য নিয়ে যান। স্যাররা ক্লাস নিচ্ছিলেন বিধায় তিনি একটি কক্ষে কথা বলার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা একটি ফ্ল্যাট নিবেন বলে তাকে সাত লাখ টাকা বায়না দেন। পরে তারা ফ্ল্যাটটি নিবেন না বলে জানান। কিছু কারণে তিনি টাকা দিতে পারছিলেন না। আজকে শিক্ষকরা বায়নার টাকা কবে দিবেন বলে জানতে চান।
ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া এক শিক্ষকের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন শিক্ষক মিলে একটি ফ্ল্যাট নিব বলে সাত লাখ টাকা বায়না (অগ্রিম) দেই। পরে কিছু কারণে ফ্ল্যাটটি নিব না বলে জানাই। কিন্তু বায়নার টাকা ফেরত দেননি হোসাইন আলী।
এ ব্যাপারে আজকে কথা বলার জন্য হোসাইন আলীকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। তবে তাকে কেউ অবরুদ্ধ করে রাখেননি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এটি খুব সামান্য বিষয়। এটি নিউজ করার কোন বিষয় হলো।’