‘সুড়ঙ্গ’ খ্যাত অভিনেত্রী তমা মির্জার ২০১৮ সালে স্নাতক সম্পন্ন হলেও রবিবার তিনি কনভোকেশনে অংশ নেন। রাজধানীর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এই অভিনেত্রী আইনে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। তমা জানান, তার বাবা ও মায়ের ইচ্ছাতেই আইন বিষয়ে ডিগ্রী নিয়েছেন।
তবে অভিনয়ের পাশাপাশি শিক্ষা জীবনে সাফল্যের ছাপ রাখতে গিয়ে কিছুটা বেগ পোহাতে হয়েছে তমাকে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বললেন, স্নাতক শেষ করতেই হালুয়া টাইট হয়ে গেছে!
তমা মির্জা বলেন, ২০১৮ সালে শুধুমাত্র ‘প্রিয়তমার প্রিয়মুখ’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছিলাম। একেবারে যেন স্ক্রিন থেকে হারিয়ে না যাই সেজন্য করা। তার আগের বছর একটি ছবি করেছিলাম। তখনই লেখাপড়ায় মনোযোগ দিয়ে শেষ করি। আইনে পড়ার সুবিধা হচ্ছে এখানে নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই। যখন ইচ্ছে আবার শুরু করতে পারবো। এখন আমি অভিনয়ে মনোযোগী, তাই ভবিষ্যতে আইন পেশা নিয়ে কতদূর কী করবো এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিনেত্রী বলে বাড়তি কোনো সুবিধা পাননি উল্লেখ করে তমা বলেন, আমাকে বিশেষ করে সুবিধা দেয়া হয়নি। অ্যাটেনডেন্সেসহ আনুষঙ্গিক অনেক কিছুতে ভালো মার্কস থাকে। সেটাও আমি পাইনি। তবে আমি মনে করি স্টুডেন্ট লাইফে এটাই হওয়া উচিত। যা করতে হয়েছে আমাকে লেখাপড়া করে অর্জন করতে হয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে ল’ ডিপার্টমেন্টে পড়া অনেকটা কঠিন। প্রচুর লেখাপড়া এবং সময় দিতে হয়।
তমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছিল আশুলিয়া। বাসা থেকে সেখানে নিয়মিত যেতে নাজেহাল হতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, বাসা থেকে ভার্সিটি যেতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাগতো। উত্তরা এবং দিয়াবাড়ির রাস্তায় জ্যাম লাগতো। সকালের ক্লাস ধরতে গেলে আমাকে ভোরে রওনা দিতে হতো। আবার দেখা যেত সকালে ক্লাস, এরপর সন্ধ্যায় ক্লাস। পরদিন আবার শুটিং। এসব কিছু মিলিয়ে আমার অবস্থা হালুয়া টাইট হয়েছে।
তমা বলেন, আইনে পড়তে গিয়ে ট্যাক্স বিষয়ে স্টাডি করতে গিয়ে আমার একটু বেশী কষ্ট হয়েছে। রাত নাই, দিন নাই আমি নোট সংগ্রহ করে পড়েছি। এতে আমার ব্যাচমেটদের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। আমার শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার রেজাল্টে ফ্যামিলিও অনেক হ্যাপি। কারণ অনেকে কাজ করতে গিয়ে লেখাপড়া শেষ করতে পারে না। তবে আমি ফাইনালি পেয়েছি এবং এখন চেষ্টা করছি অভিনয়ে ফোকাস করতে।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে তমা মির্জা অভিনীত ছবি ‘সুড়ঙ্গ’। রায়হান রাফীর পরিচালনায় এ ছবিতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, শহিদুজ্জামান সেলিম, মোস্তফা মনোয়ার। মুক্তির পর ছবিটি ব্যাপকভাবে আলোচনা তৈরি করে এবং ময়না চরিত্রে তমার অভিনয় সবার নজর কাড়ে।