ব্যর্থ ছিল উদ্বোধনী জুটি, শান মাসুদ-ইফতেখার আহমেদ বাদে পাকিস্তানের মিডল-লোয়ার অর্ডারের প্রায় সবাই ধুঁকেছে। হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে বাবর আজমের পাকিস্তান জমা করতে পারেনি বড় সংগ্রহ। বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে জয়ের লক্ষ্যটা দেড়শ ওপাশেই রেখেছেন আর্শদ্বীপ সিং-হার্দিক পান্ডিয়া।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মর্যাদার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে খাবি খেয়েছেন পাকিস্তানিরা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে মাসুদ-ইফতেখাররা থেমেছেন ১৫৯ রানে। গত বিশ্বকাপে হেরে যাওয়া ভারতের মূলপর্বে জয়ে শুরু করতে দরকার ১৬০ রান।
রোববার ভারতের বোলাররা ছিলের পুরো ছন্দে। পাকিস্তানের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতের চার পেসারই। আর্শদ্বীপ ও হার্দিক ফিরিয়েছেন তিনজন করে ব্যাটারকে।
বিশাল মাঠে ব্যাটিংয়ে নেমে গোল্ডেন ডাকে ফিরেছেন অধিনায়ক বাবর। বাবরের পর বিশ্বের এক নম্বর টি-টুয়েন্টি ব্যাটার রিজওয়ানকেও ফিরিয়েছেন আর্শদ্বীপ। দলীয় ১৫ রানে দুই ব্যাটিং স্তম্ভকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
চাপ আরও বাড়িয়ে দেন ভূবেনশ্বর কুমার-মোহাম্মদ সামি। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন দুজনে। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে চতুর্থ উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন শান মাসুদ ও ইফতেখার আহমেদ।
৩৪ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন ইফতেখার। পরে দ্রুত উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে পাকিস্তান। মিডলে ব্যর্থ হন শাদাব খান, হায়দার আলী ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। আবারও ব্যর্থ হয়েছেন আসিফ আলী।
নবম উইকেটে পাকিস্তানকে দ্রুতগতিতে ৩০ রানের জুটি এনে দেন শাহিন আফ্রিদি ও মাসুদ। ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৬ রানের ক্যামিও খেলেছেন পেসার আফ্রিদি। তিনে নেমে শেষ বল পর্যন্ত উইকেটে থেকে পাকিস্তানকে ১৬০ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছেন মাসুদ। ৪২ বলে ৫ চারে সাজিয়েছেন ৫২ রানের ইনিংস।
রোমাঞ্চকর ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শনী দেখিয়েছেন পাকিস্তানের চার পেসার। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় আফ্রিদিকে ফিরিয়েছেন ভূবনেশ্বর। ফিফটি করা ইফতেখারকে এলবির ফাঁদে ফিরিয়েছেন শামি। ৪ ওভারে যথাক্রমে ৩০ ও ৩২ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন হার্দিক ও আর্শদ্বীপ।