ব্রিসবেন থেকে: গ্যাবার আগুনে পিচ এখন আর নেই। ২০০০ সালের ১০ জানুয়ারি সরিয়ে নেয়া হয় উইকেটের মাটি। সংস্কার কাজের পর স্মৃতি ধরে রাখতে উইকেটের ঘাসসহ মাটি রাখা হয়েছে লকারে। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে যেতেই দেখা মিলল সেটির।
ঐতিহাসিক গ্যাবায় রোববার বাংলাদেশের পদচিহ্ন পড়তে যাচ্ছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় সাকিব-লিটনরা খেলবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। প্রতিপক্ষ চেনা হলেও সতর্ক টিম টাইগার্স।
আগের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে সিডনি থেকে ব্রিসবেনে এসেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে পার্থ থেকে এখানে এসেছে উজ্জীবিত হয়ে। বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই সেমিফাইনালের স্বপ্ন আরও বেশি বড় হবে ক্রেইগ আরভিনের দলের।
ম্যাচের আগের দিন গ্যাবায় দুই দলেরই ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। সকালের বাংলাদেশের নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলী চৌধুরী নেটে করেন অনুশীলন। দলের বাকি সদস্যরা দিনটি কাটিয়েছেন বিশ্রামে। দুপুরে জিম্বাবুয়ে দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই করেছেন অনুশীলন।
গ্যাবার প্রেসবক্স লাগোয়া সম্মেলন কক্ষের দেয়ালজুড়ে স্টেডিয়ামের নানা ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখা হয়েছে ছবির ফ্রেমে। শুধু ক্রিকেট নয় অ্যাথলেটিকস, রাগবি, বেসবল, সাইক্লিংও আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়া। কুইন্সল্যান্ডের ওলুংগাব্বার ভালচার স্ট্রিটের এই মাঠে বিশ্বকাপের মাত্র তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমটি আগামীকাল।
আগের ম্যাচগুলোর মতো গ্যালারিতে দর্শক সমর্থন পাবে না সাকিব-লিটনরা। খুব কম সংখ্যাক বাঙালি থাকেন এখানে। ৪২ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ে দলও দর্শক প্রত্যাশা করতে পারবে না। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমির স্বপ্ন জাগানো দেশটি থেকে কোনো সাংবাদিকই আসেননি দলের খেলা কাভার করতে। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক আরভিন সংবাদ সস্মেলনে একজন ভারতীয় ছাড়া সবাই বাংলাদেশি।
গ্যাবায় ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় এক পয়েন্ট পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে মাশরাফীর দল। এবার বৃষ্টির শঙ্কা না থাকায় অষ্ট্রেলিয়ার আরও একটি ঐতিহাসিক ভেন্যুতে অভিষেক হচ্ছে টাইগারদের।