চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জমে উঠেছে ‘স্ট্রিট ফুড’ ব্যবসা

বিকেল হলেই এখন রাজধানীর মোহাম্মদুপরের বিভিন্ন রাস্তা আর অলিগলিতে ‘স্ট্রিট ফুড’-এর তাক লাগানো পশরা জমে উঠেছে। ছোট ছোট দোকানে নানা খাবারের সমারোহ আর আর ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় চোখে পড়ার মতো। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বাসায় বয়স্করাও এখন ‘স্ট্রিট ফুড’-এর স্বাদ নিতে বাসা থেকে বের হয়ে আসেন।

মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে শুরু করে নূরজাহান রোড, সলিমুল্লাহ রোড, তাজমহল রোড, টোকিও সেন্টারের সামনের রাস্তা, সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনের রাস্তা-সবখানেই ‘স্ট্রিট ফুড’ ছড়াছড়ি। একসময় এসব অলিগলিতে ফুচকা, চটপটি, ভেলপুরি, পানিপুরি মিললেও এখন হেন কোনো খাবার নেই যা মেলে না। নানান আয়োজন আর নানান স্বাদের খাবারে দোকানগুলোতে ভীড় দেখলেই বোঝা যায় কতোটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘স্ট্রিট ফুড’। রাজকুচুরি, মমো, ফুচকা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, লুচি-ডাল, দোসা, ছোলাবাটারা-সবই এখন এখানে পাওয়া যাচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের টাউনহলে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘রাজকুচুরি’। এটি খাওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে তরুণ-তরুণীরা ছুটে আসেন। ‘রাজকুচুরি’ সবার পছন্দ বলে জানান বিক্রেতারা। প্রতিদিন বিক্রিও ভালো। অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারেন না বলে এক দোকানী জানান।

এখানে নানান ধরনের ফুচকাও পাওয়া যায়। সাধারণ ফুচকার সাথে রয়েছে ঝাল ফুচকা, চিকেন ফুচকা, চানাচুর ফুচকা ইত্যাদি। নানান ধরনের স্যান্ডউইচ ও বার্গারেরও ছড়াছড়ি এখানে। চিকেন মিনি বার্গার, চিকেন চীজ বার্গার, চীজ নাগা বার্গার, হানিবি বার্গার, সিঙ্গাপুর বিগ বার্গার, সিঙ্গাপুর বিগ নাগা বার্গার, চীজ স্যান্ডউইচ, নাগা স্যান্ডউইচ।

তবে রিং রোডে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনের রাস্তা ও অলিগলিতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘পানিপুরি’। সন্ধ্যায় এখানে পানিপুরি খাওয়ার জন্য লাইন পড়ে যায়। এখানকার পানিপুরির সাথে বিভিন্ন ধরনের টক খাওয়ার প্রতিযোগিতাও চলে। বড় বড় কলসির মাঝে বিশেষ ব্যবস্থায় টক রাখা হয়েছে। ক্রেতারা পানিপুরি নেওয়ার পর টক দিয়ে রসনা তৃপ্তি মেটান।

পানিপুরির সাথে সাথে এখানে কলকাতার রাস্তা আর অলিগলিতে যেসব খাবার মুখরোচক খাবার বিক্রি হয় সেগুলোও পাওয়া যাচ্ছে দেদারছে। কিসপি দোসা, ছোলাবাটারা, মাসালা দোসা, এগমাসালা, চিকেন ছোলা বাটারা, ফ্যামিলি দোসা-সবই এখানে সহজেই মিলছে।

‘স্ট্রিট ফুড’ ওপেন কিচেনে তৈরি করে খাওয়ানো হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তাদের বেচাবিক্রি খুবই ভাল। প্রতিদিনই শত শত ক্রেতা আসে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার জন্য। করোনা পরবর্তীতে অনেক বেকার যুবক জীবন-জীবিকার জন্য ‘স্ট্রিট ফুড’ ব্যবসা বেছে নিয়েছেন।