যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষদের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য এই বছর নববর্ষের আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ। যারা এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বুধবার ২৭ ডিসেম্বর টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যম এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে শারজাহ পুলিশ।
মধ্যপ্রাচ্যের যে অল্প কয়েকটি দেশের সাথে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে, সেই তালিকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতও আছে। তারপরও গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য এ বছর নববর্ষের সন্ধ্যায় আতশবাজি ও অন্যান্য অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে দেশটির শারজাহ কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে শারজাহ পুলিশ বলেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পোস্টে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ‘গাজা উপত্যকায় আমাদের ভাইবোনদের প্রতি সংহতি এবং মানবিক সহযোগিতার আন্তরিক প্রকাশ।’
আবুধাবি এবং দুবাইয়ের পরে আয়তন ও জনসংখ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের তৃতীয় বৃহত্তম আমিরাত হলো শারজাহ। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সাতটি আমিরাত বা অঞ্চল আছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২০ সালে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। আমিরাতের এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের সাথে ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর সম্পর্ক গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করেছিল।
উপসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটি হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর বার বার মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে দেশটি।
তবে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার জন্য হামাসেরও নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ২১ হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
হামাসকে ধ্বংস করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সেনাপ্রধান বলেছেন, হামাসের সাথে যুদ্ধ ‘‘আরও অনেক মাস’’ স্থায়ী হবে। কারণ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় হামলা বাড়িয়েছে।