লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) জাফনা কিংসের হয়ে দারুণ ফর্মে আছেন বাংলাদেশের ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। জাতীয় দল সতীর্থ সাকিবদের দলকে নাস্তানাবুদ করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন হৃদয়। রহমানউল্লাহ গুরবাজের ফিফটি আর হৃদয়ের ২৩ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসে গল টাইটান্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জিতেছে জাফনা।
এলপিএলে শুক্রবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জয়ের জন্য হৃদয়দের লক্ষ্য ছিল ১১৮ রান। গলের হয়ে আগের দুই ম্যাচে আলো ছড়ালেও এদিন ৯ বলে মাত্র ৬ রান করে আউট হন সাকিব। বল হাতে তাদের একাই ধসিয়ে দিয়েছেন দুনিথ ওয়েল্লালাগে। ৪ ওভার বল করে ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
টস জিতে ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল গল। ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর চার বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে দাসুন শানাকার দল। সাকিব যখন উইকেটে আসেন, দলের রান ৩ উইকেটে ৬৩।
কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করলেও হুট করে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আউট হন বিশ্বসেরা টাইগার অলরাউন্ডার। সাকিবের বিদায়ের পর আর গোছাল ক্রিকেট খেলতে পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে থামে। ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন শানাকা।
জয়ের জন্য জাফনাকে অবশ্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও শুরুতে সাকিবের বোলিং আক্রমণে চাপে পড়েছিল জাফনা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেট এনে দেন টাইগারদের টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক। প্রথম তিন বলে এক রান করে দেয়ার পর চতুর্থ বলে চারিথ আশালাঙ্কাকে ফেরান ১০ বলে ৫ রান করা অবস্থায়। প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সাকিব।
নিজের পরের ওভারে অবশ্য ধরাশায়ী হন হৃদয়ের কাছে। প্রথম বলেই সাকিবকে ছক্কা হাঁকান আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ। চতুর্থ বলে স্ট্রাইক পান হৃদয়। সাকিবকে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকান তিনি। ওই ওভারে সাকিব দেন ১৭ রান। এরপর দশম ওভাবে সাকিব আবার বোলিংয়ে আসলে আবারও চার মারেন হৃদয়। যদিও ওই ওভারে মাত্র ৬ রান দেন তিনি। নিজের শেষ ওভারে দলকে গুরবাজের উইকেট এনে দিলেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব-শানাকা।
৪ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে গলের হয়ে দুই উইকেট নেন সাকিব। অন্যদিকে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে টানা দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। ৪ ছক্কা ও ২ চারে ২৩ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ২২ বর্ষী হৃদয়।