জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির জোট বাধা নিয়ে নানা সময়ে লুকোচুরি দেখা যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা জনগণ জামায়াতের সঙ্গে জোট বাধাকে সমালোচনার চোখে দেখে বলে বিশেষ মুহূর্তে সেই লুকোচুরির আশ্রয় নেয় বিএনপি। এ মন্তব্য করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সংগঠন হিসেবে ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে যখন জামায়াতকে নিষিদ্ধের খাতায় ফেলা হয়, তারপরে এই বাংলায় আবারও তাদের প্রতিষ্ঠা করে জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে তারা আবারও এই বাংলাকে পাকিস্তান করার নিমিত্তে উঠে এসেছে। সবসময়ই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষায় এই দলগুলো ভারতবিদ্বেষী কর্মসূচি নিয়ে থাকে। এই যে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে এর পেছনেও এদেরই ইন্ধন থাকতে পারে। অন্তত ইতিহাস তাই বলে।
বারবার লোক দেখানো দুরত্ব বজায় রেখে জনগণকে বিভ্রান্ত করে বিএনপি উল্লেখ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ৯২ সালে লোক দেখানো দুরত্ব দেখেছি। কিন্তু ২০০১ সালে সেই যুদ্ধাপরাধীদের হাতে গাড়িতে বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়ে বাংলার মানুষকে চরম অপমান করা হলো। তখনও দগদগে ঘা ছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মানুষের শরীরে। সেসময় এই অপমান সহ্য করতে হয়েছে।
বিএনপি আর জামায়াতের এজেন্ডায় পার্থক্য নেই তা তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সেটা হলো, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানাতে হবে। জামায়াতের এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে বিএনপি।
মোদ্দা কথা হলো, বিএনপি কখনোই জামায়াত ছাড়া স্বস্তি বোধ করে না, আত্মবিশ্বাসী বোধ করে না। দ্বাদশ নির্বাচনের আগে তারা যে আন্দোলনে জামায়াতের সঙ্গে ছিল না সেটাও একধরনের কেমোফ্লেজ। মানুষকে ভুল বুঝানো। খেয়াল করে দেখবেন তারা যুগপৎ এর কর্মসূচির পাশাপাশি একইদিনে একই রকমের কর্মসূচি দিচ্ছিল।
এসবই তাদের পরিকল্পনার অংশ। আর এখন যখন আবারও সংগঠিত হওয়ার বিষয়গুলো সামনে আসছে তখন আবারও সম্মিলিত সাংগাঠনিক ফোর্স দিয়ে তারা একীভূত হতে চাইছে।
এখনকার ভারত বিরোধীতার সঙ্গে তাদের সমর্থন দেখতে পান কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা তাদের পাকিস্তান প্রেমের অংশ। ভারত বিরোধীতা করতে তারা নানা বিষয় উস্কে দিয়ে থাকে।