সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যোগ দেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান আবুল হাসান মৃধা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের মহান বিজয়ের পরিপূর্ণতা পেয়েছে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে আসেন তখন বাংলাদেশের আপামর মানুষ উল্লাসে রাস্তায় নেমে আসে। সমগ্র জাতি সেদিন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।”
আবুল হাসান মৃধা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত রাষ্ট্র গঠনের কাজ নিয়োজিত হন। জাতির পিতা মাত্র তিন বছর সাত মাস দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর একটি আধুনিক রাষ্ট্র তথা সোনার বাংলা গঠনের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি দেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন।
মিশন উপ-প্রধান বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বের কাছে বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান আবুল হাসান মৃধা।
দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি কামনা করে এবং জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।