কোভিড মহামারি শেষে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বাংলাদেশেও পড়েছে এর প্রভাব। জ্বালানি ও বৈদেশিক আমদানির ব্যয় মেটাতে গিয়ে অনেক দেশেরই রিজার্ভে টান পড়েছে। এই শঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশেও। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুনিয়েছেন আশার খবর।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন: বাংলাদেশে যে রিজার্ভ আছে তাতে ছয়মাসেও কোন সমস্যা হবে না। পেট্রোল-অকটেনের মজুদও রয়েছে পর্যাপ্ত। তারপরও বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে, যাতে সঙ্কট সৃষ্টি না হয়। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সকলকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এমন আশ্বাসে আমরা আশাবাদী হতে চাই। সবাই যার যার অবস্থান থেকে সাশ্রয়ী হলে রিজার্ভের ওপর চাপ ও ডলার সংকট কেটে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। করোনাভাইরাস মহামারি যেভাবে সামাল দিয়েছে বাংলাদেশ, যথাযথ পরিকল্পনায় এই সংকটও সেভাবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
তবে দেশের খোলাবাজারে ডলারের যে উর্ধ্বগতি সেখানেও নজর দিতে হবে। এছাড়া যেকোনভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাতে হবে। সরকার যে সেই চেষ্টা করছে না, তা নয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেওয়া নানা কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে আইএমএফ এর কাছে ইতোমধ্যেই কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদরা একে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। এতে ডলার সংকট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে তাদের বিশ্বাস। এখন যেকোন উপায়ে বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, এটাই একমাত্র ব্রত হওয়া দরকার।
দেশের এমন সংকটকালে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।