সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে সমস্যার কারণে ৩৬ মিনিট দেরিতে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে প্রথমার্ধ থাকল গোলশূন্য। রিয়াল মাদ্রিদের জালমুখে ক্রমাগত আক্রমণ করে গেল লিভারপুল, যদিও গোলের দেখা পায়নি। রিয়াল একবার জাল খুঁজে পেলেও অফসাউডে বাতিল হয়েছে সেটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে রিয়ালের উপর চেপে বসে লিভারপুল। ১৬ মিনিটের মাথায় বক্সের ভেতরে থাকা ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড নিচু ক্রসে বল মোহাম্মেদ সালাহর দিকে বাড়ান। সালাহ চতুর শট নিলেও ঠেকিয়ে দেন ব্লাঙ্কোস গোলরক্ষক থিবো কোর্ত্তোয়া।
পরের মিনিটে আবারও রিয়ালের ত্রাতা কোর্ত্তোয়া। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের অ্যাসিস্টে ডান পায়ের দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন থিয়াগো। বল চলে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে সাদিও মানের থেকে বল পেয়ে মোহাম্মেদ সালাহর বাঁ-পায়ের শটে দেয়াল হন কোর্ত্তোয়া।
পরে ২১ মিনিটে কোর্ত্তোয়া রিয়ালকে রীতিমতো মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেন। থিয়াগোর পাসে বল নিয়ে ডান পায়ের বুলেট শটে ভীতি ছড়িয়েছিলেন মানে। কোনরকমে ঠেকালেও বিপদ কাটেনি। পরে ঝাঁপিয়ে পড়ে রিয়ালকে সমূহ বিপদমুক্ত করেন কোর্ত্তোয়া।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রসে বল পেয়ে হেড করেছিলেন সালাহ। বল সরাসরি চলে যায় কোর্ত্তোয়ার গ্লাভসে।
খেলার ৪৩ মিনিটে বেনজেমা গোল করে বসেন, সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ভালভার্দের লং পাসে বেনজেমা বল নিয়ন্ত্রণে নেন। ইব্রাহিমা কন্তে এবং অলরেড গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার বলের দিকে ছুটে যান। ফ্যাবিনহোর হাঁটুতে লাগার পর বল জালে জড়িয়ে দেন বেনজেমা। অফসাইডে থাকায় রেফারি গোল বাতিল করেন। ভিএআরের সাহায্য নিয়েও রিয়াল সেটিকে গোল বানাতে পারেনি।