চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে উঠতে সাহায্য করেছে প্রথম ম্যাচের হার

জয়ের পর বললেন মেসি

‘বিশ্বকাপে এমনভাবে শুরু করাটা ছিল একটা ধাক্কা। ভাবতে পারিনি আমরা সৌদি আরবের কাছে হেরে যাব। এটা পুরো স্কোয়াডের জন্য অ্যাসিড টেস্ট ছিল। কিন্তু আমরা কতটা শক্তিশালী এই স্কোয়াড তা প্রমাণ করেছে।’ ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট কাটার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন লিওনেল মেসি।

গ্রুপপর্বে সৌদি আরবের কাছে হোঁচট খাওয়ার পর অপরাজিত আলবিসেলেস্তেরা। মেক্সিকো ও পোল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়া এবং কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে দেয় মেসি-ডে পলরা। এবার তাদের শুধুই ফাইনাল জয়ের পালা।

আকাশি নীলরা ৩৬ বছরের শিরোপা খরা ঘুচাতে মরিয়া। যতো সময় গড়িয়েছে, এবার আর্জেন্টিনা চিরাচরিত লাতিন ফুটবলের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলেছে। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে তিন নম্বরে থাকা দলটি কতটা মানসিক চাপের ভেতর দিয়ে গেছে, তা মেসির কথায় স্পষ্ট।

‘আমরা যা করেছি তা খুব কঠিন ছিল। এটা মানসিক চাপ। কারণ প্রতিটি ম্যাচই ছিল ফাইনাল। জিততে না পারলে বিষয়গুলো জটিল হবে সেই ব্যাপারে আমরা সচেতন ছিলাম। পাঁচটি ফাইনাল জিততে পেরেছি। আশা করি ফাইনালেও যাত্রা এভাবেই চলবে।’

‘এটা জানি দল হিসেবে আমরা কী করতে সক্ষম। প্রথম ম্যাচে সূক্ষ্ম ফারাকের কারণে হেরেছিলাম। এটাই আমাদের শক্তিশালী হতে সাহায্য করেছিল।’

রোববারের ফাইনাল ম্যাচের আগে চাপ নয়, উপভোগের মন্ত্রে দীক্ষিত হতেই এলএম টেন দিচ্ছেন পরামর্শ। ৩৫ বর্ষী ফুটবলার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন বলেও জানান।

‘আসুন আমরা এই মুহূর্তটি উপভোগ করি। এখানে এবং আর্জেন্টিনায় আমাদের সমর্থকদের আনন্দ দেখে দারুণ লাগছে। ফাইনালে আমাদের যা আছে তা আমরা দিতে যাচ্ছি তবে আমরা যা অর্জন করেছি তা উপভোগ করতে হবে।’

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়িয়েছিল খেলা। দীর্ঘ ম্যাচ খেলার পরও দলের সব খেলোয়াড় নিজেদের শক্তিশালী অনুভব করছিলেন বলেও জানালেন মেসি।

‘আমি এই মুহূর্তটি অনেক উপভোগ করছি। আগের খেলাটি মোটেও সহজ ছিল না। আমরা ক্লান্ত ছিলাম কিন্তু দল ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার জন্য মাঠে শক্তি নিয়েই এসেছিল।’

বিশ্বকাপ ইতিহাসে স্পেনই একমাত্র দল যারা নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকায় হওয়া সেই আসরে ওয়ান-টু-ওয়ান ফুটবল কত সহজে, কত শৈল্পিক উপায়ে খেলা যায়, স্প্যানিশরা সেবার টিকিটাকার শিহরণে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে যায়।

স্প্যানিশদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রথম ম্যাচ হারা আর্জেন্টিনা ৩৬ বছরের শিরোপা খরা ঘুচাতে মরিয়া। পরপারে থেকেও হয়তো সেই দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View