উৎপাদন খরচ অনুযায়ী সবাই দাম দিতে রাজি থাকলে গ্যাস ও বিদ্যুতের সাপ্লাই দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন: এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২ টাকা খরচ হয়। আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। ইংল্যান্ডে দেড়শ’ ভাগ দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু এখনও সেই পর্যায়ে যাইনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান: তবে আমি আবারও বলব, গ্যাস বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি সবাই ক্রয়মূল্য যা হবে সেটা দিতে রাজি থাকে। তাছাড়া কত ভর্তুকি দেয়া যায়। আমরা এক্ষেত্রে কেন ভর্তুকি দেব। ভর্তুকি দিচ্ছি কৃষিখাতে, খাদ্য উৎপাদনে। আমরা করোনা যাতে মোকাবিলা করতে পারি, বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানা চালু থাকে। প্রণোদনা দেয়ার ফলেই অর্থনীতির গতিটা সচল রয়েছে।
তিনি বলেন: আমাদের জনগণ হবে স্মার্ট, অর্থনীতি হবে স্মার্ট। আমাদের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় হিসেবে নবনির্মিত বিনিয়োগ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন: কলকারখানা যেন পরিবেশবান্ধব হয় এবং শ্রমিকরা যেন সুন্দর পরিবেশে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি যুব সমাজসহ সবাইকে বিনিয়োগের তাগিদ দেন।
তিনি জানান: মূল্যস্ফীতি অত্যধিক বেড়েছে। তবে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। বাংলাদেশ পারে। বাঙালি পারে। আমরা পদ্মা সেতু করেছি। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। জনগণ আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: আমরা মেট্রোরেল, পাতাল রেল, এক এক করে অনেক কিছু করছি। ৬৩টি বিনিয়োগ সেবা সংযোজন করা হয়েছে। আমরা ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। বাংলাদেশের সম্ভবনা হলো যুবসমাজ। তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। দক্ষ মানব তৈরিতে আমরা চেষ্টা করছি। আর ভর্তুকি সম্ভব নয়, উৎপাদন খরচ দিলে গ্যাস ও বিদ্যুতের যোগান নিশ্চিত করা যাবে।