দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট।
বায়ুদূষণ রোধে আগের দেয়া ৯ দফা ও ৫ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশর সকয় এ মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। তাদের (মানুষকে) বাচান। এখানকার বায়ু দূষণে আপনাদের তো কোন সমস্যা নেই। কারণ, আপনাদে ছেলে-মেয়েরা তো বিদেশে থাকে।’
আদালতের আদেশে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে হাইকোর্ট আরও বলেন, ‘আমাদের ডাইরেকশনের কোন রিফ্লেকশন নাই।’
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করীম। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) করা এক রিটের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট বায়ু দূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনাসহ আদেশ দিয়েছিলেন।
ওই ৯ দফার মধ্যে ছিল ঢাকা শহরে মাটি/বালু/বর্জ্য পরিবহন করা ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা। নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালু/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা। সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটাবে ও রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ির কাজে দরপত্রের শর্ত পালন নিশ্চিত করা। সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা। পরিবেশগত সনদ ছাড়া চলমান টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা। মার্কেট/দোকানের প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগে ভরে রাখা এবং বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করা। পরবর্তীতে আরো ৫ দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।