ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা দীপু হাজরা। তার নাটকে ওঠে আসে গ্রাম বাংলার মানুষের গল্প। মধ্যবিত্ত মানুষের গল্প। হাসি কান্না আর নানা ধরনের আবেগের ভেতর দিয়ে তিনি বিনোদিত করেন দর্শককে।
আগামী বুধবার দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আইতে দেখানো হবে দীপু হাজরার পরিচালনায় টেলিফিল্ম ‘ভালো থেকো, ভালোবাসা’। এটি রচনা করেছেন সুস্ময় সুমন। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিবলী নোমান, সালহা খানম নাাদিয়া, রিগান সোহাগ, শ্রেয়সী খান। টেলিফিল্মটি প্রযোজনা করেছে ১৯৫২ এন্টারটেইনমেন্ট।
টেলিছবির গল্পে দেখা যায় সাফাত আর লাবনী দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে প্রেম আছে কিনা বুঝতে পারে না কেউ। তারা কেবলই বন্ধুর মতন মেশে। একদিন লাবনীকে খুঁজতে ওদের বাসায় এসে লাবনীর বড়ো বোন অতসীর সঙ্গে পরিচয় হয় সাফাতের। অতসীকে মনে ধরে সাফাতের। তবে অতসী যেহেতু বড়, তাই ওকে কিছু বলার সাহস হয় না। এদিকে নিয়ম করে, নানা ফন্দি ফিকির করে সাফাত অতসীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ব্রেকাপের পর অতসী হাসতে ভুলে গেছে, হয়ে গেছে ইন্ট্রোভার্ট। সেই অতসী সাফাতের কারণে ধীরেধীরে আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, হাসতে শুরু করে।
সাফাত তাকে নিয়ে মেতে থাকে, অতসীকে হাসায়, নানারকম মজা করে ওর সাথে। হঠাৎ একদিন অতসী উপলব্ধি করে, সাফাত তো তার বোন লাবনীর বন্ধু। লাবনী আবার সাফাতকে ভালোবাসে না তো? কথাটা ইঙ্গিতে বুঝে নিতে গেলে অতসী টের পায় লাবনী আসলে বন্ধুর চেয়ে বেশি আর কিছু ভাবে না সাফাতকে। এমনকি লাবনীর সঙ্গে আরেকজন ছেলের বেশ খাতির আছে। হয়তো ঐ ছেলের সঙ্গেই লাবনীর প্রেম। নিজেকে বোঝায় অতসী, নানাভাবে, নানা-ব্যাখ্যায়। কিন্তু জীবনের জটিল ব্যাখ্যাগুলো কেন যেন তাকে আটকাতে পারে না। অতসীর কেবলই সাফাতের ভালোবাসায় স্বপ্নের পৃথিবীতে উড়তে ভালো লাগে। আর সাফাতও পাগলের মতো ভালোবাসতে থাকে অতসীকে। তবে সাফাত কিংবা অতসী কেউ কখনও নিজেদের অনুভূতির কথা একে অপরকে জানায় না। আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় একসময়।
লাবনীর সঙ্গে ওর বয়ফ্রেন্ড শিবলির ঝামেলা হতে লাবনী কাঁদতে কাঁদতে অতসীকে জানায়, সে আসলে ভালোবাসে সাফাতকে, শিবলির সাথে এতদিন ঘুরতো সাফাতকে জেলাস করার জন্য। অথচ সাফাতের কোনো বিকার নেই, সে বোধহয় অন্য কাউকে ভালোবাসে। অথচ সাফাতকে জীবনে না-পেলে লাবনী নাকি মারা যাবে! লাবনীর মুখে এ কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে অতসীর। সে মুহুর্তে স্তব্ধ হয়ে যায়।
এমন গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে ‘ভালো থেকো, ভালোবাসা’ টেলিফিল্মটির গল্প। শেষ পর্যন্ত কী হয়? জানতে হলে চোখ রাখতে হবে চ্যানেল আইয়ের পর্দায়।